Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

সোনা, রুপো ঘরে আনার শুভ দিন ধনতেরাস! ধনতেরাস উৎসব এর পৌরাণিক কাহিনী জানেন

কথাতেই রয়েছে, বাঙালির ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’। তাই বেশ কিছু বছর ধরেই ধনতেরাস উৎসবকে নিজের করে নিয়েছে বাঙালি। মূলত অবাঙালিদের মধ্যে এই উৎসব পালনের প্রথা ছিল এর আগে। ধনতেরাস পরিচিত- ‘ধনাত্রয়োদশী’ বা ‘ধনবত্রী ত্রয়োদশী’ নামে। ‘ধন’ শব্দের অর্থ ‘সম্পদ’ এবং ‘তেরাস’ শব্দের অর্থ ‘ত্রয়োদশী’ অর্থাৎ তেরো। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কার্তিক মাসের তেরোতম দিনে, অর্থাৎ কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশ তিথিতে এই উৎসব পালিত হয় ঘরে ঘরে।

ধন কথার অর্থ হল ধনসম্পত্তি। আর তেরাস বলতে বোঝায় ত্রয়োদশীর দিনকে। অর্থাৎ কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের তেরো নম্বর দিনকে ইঙ্গিত করে এটি। দীপাবলির উৎসব চলে পাঁচ দিন ধরে।

ধনতেরাসের ইতিহাস খুঁজতে আমরা চলে যাই পুরাণের গভীরে। ধন সম্পদের দেবতা কুবের। তাই এ দিন কুবেরও লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। কথিত রয়েছে, দুর্বাশা মুনির অভিশাপে স্বর্গ থেকে লক্ষ্মীদেবীকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তিনি সাগরে গিয়ে বাস শুরু করেন। এর পরে রাক্ষসদের সঙ্গে লড়াই করে দেবতার ফিরে পান তাদের লক্ষ্মীকে। অনেকে আবার বলেন, প্রাচীন রাজা হিমের ছেলের ভাগ্যে লেখ ছিল বিয়ের পরে চতুর্থ রাতে সর্প দংশনে তার মৃত্যু হবে। তখন সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে নিজের যাবতীয় গয়না অলংকার ঘরের দরজায় জড়ো করে রেখে দেন। এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখেন দুয়ারে। যম প্রবেশ করতে গেলে সোনার ছটায় তার চোখ ধাঁধিয়ে যায়। সেই থেকে ধনসম্পদের আরাধনা শুরু হয়।

বলা হয় এ দিন ধাতু কিনলে তার জৌলুসে আকৃষ্ট হয়ে মা লক্ষ্মী নিজে আসেন সেই বাড়িতে। তাই এ দিন মূল্যবান ধাতু কে‌নার ধুম পড়ে। সোনার-রূপোর দোকানে চলে নানা আকর্ষণীয় অফার। অনেকেই সমৃদ্ধির বিশ্বাসে এ দিন সোনা বা রূপোর গয়না থেকে কয়েন বা প্রতীকী কিছু কেনেন। অনেকে যারা দামি ধাতু কিনতে পারেন না তারা কম দামি পিতল, তামার দ্রব্যও কেনেন। বাড়ি বাড়ি লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা হয়। সবশেষে চোদ্দটি প্রদীপ জ্বালিয়ে ঘরের অন্ধকার দূর করা হয়।

Related posts

কেন পুজা অর্চনায় হিন্দু ধর্মে আঁকা হয় এই ওম, স্বস্তিক, ঘট ইত্যাদি প্রতীক বা চিন্হগুলি? জানেন এর ব্যাখ্যা?

News Desk

অনলাইনে ব্যাঙ্কিং- এ লুকিয়ে ডিজিটাল ফাঁদ ! উত্তর দিলেই টাকা হাপিস ; সতর্ক থাকুন!

News Desk

কাকতালীয়! একই সাথে গর্ভবতী একটি হাসপাতালের একই বিভাগের ১০ জন নার্স ও ১ ডাক্তার!

News Desk