উপরে এবং নীচে কিছুটা করে ফাঁকা৷ বা নিচে কাটা। বা নিচের অংশ ফাঁকা। শপিং মল, অফিস, অডিটোরিয়াম বা নানা পাবলিক প্লেসের বেশিরভাগ জায়গায় এরকম শৌচাগারের দরজা (public toilet door) দেখতে আমরা অভ্যস্ত৷ কিন্তু কেন করা আবশ্যক এমনটা। সাধারণত নিজের বাড়ীর টয়লেটের দরজা মেঝে বা চৌকাঠ পর্যন্ত আটকানো থাকে। যাতে টয়লেটের ভেতরের কোনো অংশই বাইরে থেকে দৃশ্যমান না হয়। কিন্তু পাবলিক টয়লেট এর ক্ষেত্রে বিষয়টা কেন আলাদা? জেনে নিন কি পাবলিক টয়লেটের দরজার নিচে কেন খোলা থাকে। কিছু সম্ভাব্য কারণ হল…
১) কোন কারনে শৌচাগার ব্যবহার করার সময় যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন হঠাৎ তাহলে সেই অস্বাভাবিকতার আন্দাজ বাইরে থেকে পাওয়া যেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দরজা খুলে তাকে বাইরে বার করে আনা যাবে। কাটা দরজা থাকলে এই সুবিধা আছে।
২) পাবলিক প্লেসে অনেক ক্ষেত্রেই স্মোক করা বারণ। কিন্তু অনেকেই টয়লেটের দরজা বন্ধ করে স্মোক করা বা অন্যান্য নেশা করেন। কিন্তু যদি দরজার উপরের নিচের অংশ ফাঁকা থাকে তাহলে কেউ স্মোক করলে বাইরে থেকে বোঝা যাবে এবং পাবলিক প্লেসে পরিবেশ ঠিক রাখতে এই কাজে বাধা দেওয়া সম্ভব হবে। ধরা পড়বেন নিয়ম লঙ্ঘনকারীও৷
৩) পাবলিক টয়লেটের ভেতরে কেউ আছেন নাকি ফাঁকা আছে বাইরে থেকে তা বুঝতে অনেক সময় অসুবিধা হয়। সব জায়গায় দরজার লক ব্যবস্থা সব সময় ঠিক মতন কাজ করে না। কিন্তু কাটা দরজা হলে সেটি বাইরে থেকেই বোঝা যাবে।
৪) দরজা নিচের অংশ কাটা থাকলে জল আদ্রতার কারণে নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কলেজ দরজাটি দীর্ঘসময়ের জন্য টিকে থাকবে।
৫) টয়লেটের ভেতরে থাকার সময় কোন কিছুর দরকার পড়লে যেমন টয়লেট পেপার বা ইত্যাদি, তা বাইরে থেকেই কেউ না কেউ সাহায্য করতে পারবে দরজা না খুলেই। ফলে এড়ানো যাবে কোন অপ্রস্তুত পরিস্থিতি।