ব্যস্ত নাশনাল হাইওয়ে। দুরন্ত গতিতে যেখান থেকে ছুটে চলে একের পর এক হাই স্পীড গাড়ী। সেই জাতীয় সড়ক ধরেই ছুটছে একটি মারুতি এসি ৮০০ গাড়ি। ড্রাইভিং সিটে বসে আছেন যিনি তাকে দেখলে অবাক হতে হয় বইকি। স্টিয়ারিং হাতে দেখা যাচ্ছে ৯৫ বছরের বয়সী এক বৃদ্ধাকে। বৃদ্ধার পাশেই বসে রয়েছেন আরেক ব্যক্তি। এমনই একটি রোমহর্ষক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে জনপ্রিয় হয়েছে সম্প্রতি। যা দেখে সকলেই বেশ হতবাক।
কথায় বলে মনের ইচ্ছা আর জেদ থাকলে কোনো বাঁধাই বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। যদি থাকে সঠিক উদ্যম আর আত্মবিশ্বাস তাহলে কোনো নতুন কিছু করার জন্য বয়স কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। এই বক্তব্যকেই বাস্তবায়িত করে দেখালেন মধ্যপ্রদেশের দেওয়াস জেলার নবতিপর রেশমবাঈ তনওয়ার। তাঁর ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে যা দেখে কার্যত থ প্রত্যেকে। এমনকি খোদ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহাণও রেশমবাঈয়ের সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, একই সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘ ঠাকুমা আমাদের প্রত্যেককে এটাই শেখালেন যে, যদি কারোর মধ্যে ইচ্ছা আর আগ্রহ থাকে তা হলে বয়স কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। ইচ্ছা ও উদ্যমটাই আসল।’
যাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে এত চর্চা সেই প্রবীণ গাড়ির চালক রেশমবাঈয়ের কথায় আসা যাক। জেওয়াস জেলার বিলাওয়ালির বাসিন্দা ৯৫ বছরের রেশমবাঈ। গাড়ী চালানো শেখার সখ তার। নিজের ছেলে সুরেশ সিংহের কাছে সেই ইচ্ছাই প্রকাশ করেন ওই প্রবীনা। বৃদ্ধা মায়ের ইচ্ছা রাখতেই তাঁকে গাড়ি চালানো শেখান তাঁর ছেলে। ব্যাস সেই থেকেই শুরু। আর গাড়ীর স্টিয়ারিং -এ হাত পাকাতে বেশী খুব বেশি সময় লাগেনি রেশমবাঈ এর। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। মাত্র তিন মাসের মধ্যে গাড়ি চালানো শিখে নেন তিনি।
এই বয়সে গাড়ি চালাতে গিয়ে কোনো সমস্যায় না পড়েন এমন সংশয় এবং আশঙ্কা অনেকেই প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সকলকে ভুল প্রামাণিত করে রেশমবাঈ এই বয়সে গাড়ি চালানো শিখে কোনও মাঠ বা অলিগলিতে নয়, একেবারে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে ঝড়ের গতিতে গাড়ি ছোটাচ্ছেন!