পৃথিবী রহস্যে ভরপুর। কখনো সমুদ্রের বুক থেকে নতুন রহস্য উন্মোচন হয় তো আবার কখনো পৃথিবীতে মাটির বুকেই নতুন নতুন রহস্য উন্মোচিত হয়। সম্প্রতি লাতিন আমেরিকায় এমন কিছু ঘটেছে যে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়েছে চিলির দিকে। চিলির খনি এলাকায় একটি বিশাল সিঙ্কহোল বিশ্বজুড়ে আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। চিলির কানাডিয়ান লুন্ডিন খনির এলাকায়, মাটিতে হঠাৎ ফাটল ধরে এবং একটি ৮২ ফুট প্রশস্ত সিঙ্কহোল তৈরি হয়েছিল। এই সিঙ্কহোলের গভীরতা ৬৫৬ ফুট।
নরকের দরজা খুলছে:
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিলির এই মাইনিং জোনে হঠাৎ করে এই বিশাল রহস্যময় গর্ত দেখে মানুষ অবাক হচ্ছেন। এই সিঙ্কহোল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ক্রমশঃ প্রকাশ্যে আছে। একইসঙ্গে ওই এলাকায় সিংখোলের ছবি প্রকাশের পর ওই এলাকায় খনির কাজ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
৮২ ফুট চওড়া, ৬৫৬ ফুট গভীর সিঙ্কহোল:
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী এই রহস্যময় গর্তের প্রস্থ ৮২ ফুটের বেশি এবং গভীরতা ৬৫৬ ফুটের বেশি। এর মধ্যে পাহাড়ের পাদদেশে জলও রয়েছে। এই গভীর গর্তের আশপাশের এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে খনির কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। যেখানে এই সিঙ্কহোলটি তৈরি হয়েছে সেই খনি এলাকা লন্ডন মাইনিং নামের একটি কোম্পানির হাতে রয়েছে। এই সিঙ্কহোল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে বিশেষজ্ঞ দল। একই সঙ্গে প্রতিনিয়ত বাড়ছে এই সিঙ্কহোলের প্রশস্ততা, যা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে মানুষ ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
মানুষের জন্য এখনও কোন বিপদের আশঙ্কা নেই:
মানুষের জন্য এখনও কোন বিপদের সম্ভাবনা নেই এমনটাই সিঙ্কহোল তদন্তকারী দল জানিয়েছে। যেখানে সিঙ্কহোল পাওয়া গেছে সেখান থেকে প্রায় ৬০০ মিটার দূরে রয়েছে মানব বসতি। একই সঙ্গে সেখানে লোকজন আসা-যাওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এই সিঙ্কহোলটি তৈরি হয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি। ন্যাশনাল সার্ভিস অফ জিওলজি অ্যান্ড মাইনিং-এর দল বলছে, শিগগিরই তারা এর কারণ খুঁজে বের করতে পারবে।
নরকের দরজা নাকি? আতঙ্কে মানুষ:
সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে এই বিশাল সিঙ্কহোলের ছবি। মানুষ এটাকে নরকের দরজা বলছে। একইসঙ্গে খবরও আসছে যে এই গর্তের প্রস্থ বাড়ছে, যার জেরে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। আকস্মিকভাবে এই গর্তের সৃষ্টি ও এর বিশাল আয়তন দেখে মানুষ আতঙ্কিত। ছবি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মন্তব্য করছেন মানুষ। লোকেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা করছে যে এটা হয়তো নরকের দরজা।