হাঁটু আর কোমরের ব্যাথ্যায় ভোগেন এমন মানুষের সংখ্যা আজকাল অনেকে। অনেক কম বয়স থেকেও কোমর-হাঁটুর ব্যাথায় কষ্ট পান এমন মানুষের সংখ্যাও খুব একটা কম নয়। ডক্টর দেখিয়ে, ওষুধ খেয়ে হয়ত সাময়িকভাবে ব্যাথা কমে। কিন্তু কিছু দিন পরই ফিরে আসে সেই একই সমস্যা। কিছুতেই উপায় মেলে না কষ্টদায়ক ব্যাথ্যার থেকে মুক্তির।
কিন্তু আপনার জীবনযাত্রায় সাধারণ কিছু পরিবর্তন কমিয়ে দিতে পারে কোমর-হাঁটুর ব্যাথা অনেকটাই। রোজকার জীবনে সামান্য কিছু কিছু অভ্যাস মেনে চললেই অনেকাংশে কমিয়ে দেওয়া যায় হাঁটুর ব্যাথা।
কোমর-হাঁটুর ব্যাথা সাধারণত ক্রনিক ব্যাথা। এই ব্যাথা একদিনে হয় না। তাই জেনে নিন কোমর-হাঁটুর ব্যাথা এড়িয়ে চলতে কী করবেন?
১) বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা সঠিক পরিমানে শারীরিক পরিশ্রমের অভাব। এখনকার ফাস্ট লাইফস্টাইলে মানুষের কায়িক পরিশ্রম কমে গেছে। তাই প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যয়াম করুন। সাথে সাথে অবশ্যই স্ট্রেচ করুন। এর ফলে পেশী ও হাড় শক্তিশালী হবে। বৃদ্ধি পাবে ফেলক্সিবিলিটি। যোগাসনও করতে পারলেও উপকৃত হবেন।
২) এক ভাবে বসে থাকবেন না। অফিসে একটানা বসে কাজ করলেও মাঝে মাঝে ব্রেক নিয়ে হাঁটাহাঁটি করুন।
৩) কম্পউটারে ডেস্ক-এ বসে কাজ করলে সঠিক চেয়ার ও ডেস্ক ব্যবহার করুন। মেরুদন্ড সোজা থাকে, সেই দিকে নজর রাখুন। সঠিক ভাবে বসুন।
৪) আপনি কি জুতো পড়েন তার সঙ্গে কিন্তু কোমর-হাঁটুর ব্যাথার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে। চেষ্টা করবেন ঠিক মাপের ভাল কোয়ালিটির জুতো পরার। জুতো কেনার সময় নজর রাখুন ভালো মানের সোল-এ র দিকেও।
৫) খাবারের পাতে রাখুন যথেষ্ট পরিমাণে শাক-সবজি ও মরশুমী ফল। যেমন ব্রকোলি, গাজর, বিনস্, অঙ্কুরিত ছোলা ইত্যাদি প্রচুর পরিমানে খান। রোজ দুধ খেলে ভালো। ডিমও পাতে পড়ুক নিয়মিত। এতে করে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম-এর অভাব পূরণ হবে।
৬) শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের আধিক্য থেকে অনেক সময়ই কোমর এবং হাঁটুর ব্যাথা বাড়ে। তাই একজন চিকিসকের কাছে দেখিয়ে তার পরামর্শ অনুযায়ী ইউরিক অ্যাসিড পরীক্ষা করিয়ে নিন। যদি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা শরীরে বেশি হয় এড়িয়ে চলুন টম্যাটো, কাবুলি ছোলা, মুসুর ডাল ইত্যাদি।
৭) নিজের মত অনুযায়ী কোনও ধরনের ওষুধ বা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া শুরু করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই ওষুধ খান।