রাজস্থানের জয়পুরে ৭৩ বছর বয়সে বিয়ে করলেন এক বৃদ্ধ। কিন্তু বিয়ের পর নতুন বউ এসে বৃদ্ধের জীবনটা যেন খারাপ থেকে খারাপ তর করে দিয়েছিল। অবশেষে বিয়ের তিন মাস পর বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র, নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে পালিয়ে যায় বউ। ঘটনাটি জয়পুরের বাজাজ নগর এলাকার। বাজাজ নগরের বাসিন্দা ৭৩ বছর বয়সী রামধনের প্রথম স্ত্রী মারা গেছেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন রামধন। এরপর ৬২ বছর বয়সী এক নারীকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন রামধন।
রামধন থানায় অভিযোগ করেছেন যে বিয়ের পর থেকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে হয়রানি করতে শুরু করেছিল। রামধন রিপোর্টে বলেছিলেন যে তার প্রথম স্ত্রী ২০২১ সালের জুনে মারা যান। এরপর যখন একাকীত্ব অনুভব করছিলেন তিনি তখন ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সুমন নামে এক বিধবার সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় তার। আর্য সমাজ মন্দিরে এই বিয়ে হয়েছিল। রামধন জানান, বিয়ের ৫ দিন পর থেকেই সুমনের আচরণে পরিবর্তন আসে এবং সে তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে।
রামধন তার অভিযোগে বলেন, বিয়ের পর থেকেই সুমন তাকে ব্ল্যাকমেইল করে বাড়ির অর্ধেক নিজের নামে করে ফ্ল্যাট পাওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। এর পাশাপাশি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা খরচ দেওয়ার দাবি ছিল। সুমন তাকে হুমকি দিত, যদি সে তা না করে তাহলে রামধনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে তাকে জেলে পাঠাবে। সুমন অনেকবার খাবারে বিষ মেশানোর কথাও বলেছিল। রামধন অভিযোগে জানিয়েছেন, সুমন তাঁকে তাঁর পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গেও কথা বলতে দেয়নি।
রামধন জানায়, সুমন তাকে গালিগালাজ ও মারধর করত। একই সময়ে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে, বিয়ের মাত্র ৩ মাস পরে, সুমন নগদ টাকা এবং গয়না নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এতে লক্ষাধিক টাকার গয়না ও নগদ ২ লক্ষ টাকা ছিল। রামধন ফোন করে সুমনকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে নিজেই ফোনে হুমকি দেয়। পাশাপাশি বাড়ি ও ফ্ল্যাটের অর্ধেক তার নামে করার কথা বলে। সুমনের বারংবার হুমকিতে বিরক্ত হয়ে অবশেষে বাজাজ নগর থানায় পৌঁছায় রামধন। এখানে অভিযোগ নথিভুক্ত না হলে রামধন আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের হস্তক্ষেপে রামধনের মামলা রুজু করে সুমনকে খুঁজছে পুলিশ।