করোনা আবহে গত বছর প্রায় কোনো পরীক্ষাই হয়নি। এর মধ্যে অন্যতম হল ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস (West Bengal Civil Service) বা ডাব্লিউ বি সি এস (WBCS)। প্রস্তুতি নিলেও প্রায় দুই বছর ধরে অপেক্ষা করে আছেন বহু পরীক্ষার্থী। কিন্তু এর পরেও স্রেফ ৫ মিনিট দেরি হওয়ার কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে পারলেন না তারা। এই নিয়ে শোরগোল শুরু হয় মালদার এক পরীক্ষা কেন্দ্রে।
জানা গিয়েছে গত ২২শে অগাস্ট বহু প্রতীক্ষিত ডব্লুবিসিএস পরীক্ষা ছিল। দুপুর ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরুর সময় ছিল। আর পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিট আগে অর্থাৎ ১১টা বেজে ৫০ মিনিটে ছিল পরীক্ষার্থীদের রিপোর্টিং করার কথা। কিন্তু মালদা জেলার কয়েকজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে একটু দেরি হয়ে যায়।পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে রিপোর্টিং করার নির্ধারিত সময় ছিল ১১টা ৫০ মিনিট। কিন্তু ১১টা ৫০ এর জায়গায় তারা ১১টা ৫৭ মিনিট নাগাদ পৌঁছন। কিন্তু তাদের ৫ থেকে ৭ মিনিট দেরি হওয়ায় তাঁদের পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফলে ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য দু-বছর অপেক্ষা করার পর বহু প্রতীক্ষিত পরীক্ষা দিতে পারলেন না বাজকুল, কোতয়ালি সহ সংলগ্ন এলাকার মোট ছয় জন পরীক্ষার্থী। রবিবার ২২শে অগাস্ট সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা পুরসভার অন্তর্গত আহ্লাদমনি গার্লস হাইস্কুলে। স্কুল কর্তৃপক্ষের এহেন আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই পরীক্ষার্থীরা।
বারং বার অনুরোধ করলেও তাদের ঢুকতে দেয়নি প্রধান শিক্ষিকা। পরীক্ষার্থীরা গেট খুলে ঢোকার চেষ্টা করলে গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর প্রধান শিক্ষিকা বাইরে এলে তাঁকে অনুনয় করলেও তিনি তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দিলেন না। এর বিরুদ্ধে অভিভাবকেরা বলেন। এমনকি স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীরাও আহ্লাদমনি গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে অনুরোধ করেছিলেন ওই ৬ জন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি কোনও কথাই শোনেননি।’
এই ঘটনা ঘিরে চরম ক্ষোভ ছড়িয়েছে পরীক্ষার্থী এবং উপস্থিত অভিভাবকদের মধ্যে। সেখানে উপস্থিত এক অভিভাবক প্রতিক্রিয়া দেন,’ গত বছর যেখানে ডব্লুবিসিএস পরীক্ষা হয়নি। দু-বছরের পর এবারে পরীক্ষা হল। মাত্র ৫ মিনিট দেরি হওয়ায় ৬ জন বেকার যুবকদের পরীক্ষায় বসতে দিলেন না আহ্লাদমনি গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।
প্রসঙ্গত, WBCS পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডে স্পষ্টভাবে লেখা থাকে পরীক্ষাহলে ঢোকার শেষ সময় এবং নিয়ম অনুযায়ী সেই নির্ধারিত সময়ের পর কাউকেই পরীক্ষার হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না।