অনেক অনেক টাকা দেখা যাচ্ছে ড্রেনের জলে ভেসে এসেছে । সেই টাকার সবকটি 500 টাকার নোট । সেখানকার স্থানীয় রাশি টাকা উদ্ধার করতে হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটিয়েছে। মত ড্রেনের জলে হাবুডুবু খেতে খেতে টাকা সংগ্রহ করতে থাকে তারা। এই ঘটনায় রীতিমত অবাক হয়ে গেছেন ওই এলাকার মানুষরা।
সূত্রের খবর, কাকসার কালিনগর এলাকার একটি ড্রেনে গত সন্ধ্যায় বান্ডিল বান্ডিল ৫০০ টাকার নোট ভেসে থাকতে শুরু করে। একদিকে প্রচন্ড মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে ওই এলাকায় , মধ্যে স্থানীয়রা দেখতে পান যে ড্রেনে ৫০০ টাকার বান্ডিল জলে ভেসে আসছে । সাথে সাথেই ওই এলাকার মানুষজন সেই মুহূর্তে জলে নেমে পড়েন । খবর জানাজানি হতেই ওই এলাকায় ভিড় জমে যায়। প্রচুর মানুষের ভিড় জমে যায় ওই এলাকায় টাকা কুড়ানোর জন্য। এদিন কালিনগর এলাকার ওই ড্রেনে প্রচুর পরিমাণ ৫০০ টাকার নোট ভেসে আসে। উল্লেখ্য, ওই নিকাশি নালাটি কাঁকসার আরা মোড় থেকে কালিনগর হয়ে চলে গিয়েছে। ওই ড্রেনটি রয়েছে এলাকার নিকাশি ব্যবস্থার জন্যই। ওই নিকাশি নালা দিয়ে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পরেই বহুল পরিমাণ টাকা ভেসে আসতে শুরু করে।
তবে এত পরিমান পাঁচশো টাকার নোট ড্রেনের জলে কিভাবে ভেসে এল, তা কেউই বুঝতে পারছেন না। ওই এলাকায় তৎপরতার সাথে পৌঁছায় পুলিশ । যদিও ততক্ষণে ড্রেনের সব টাকা কুড়িয়ে নিয়েছে সেখানকার বাসিন্দারা । স্থানীয় মানুষের হস্তগত হয়ে গেছে সেখানে ভেসে আসা ৫০০ টাকার বান্ডিল । এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এইভাবে বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছিল নোট বন্দির পরবর্তী সময়ে। কিন্তু হঠাৎ করে ড্রেনের জলে এই সময় টাকা ভেসে আসার ঘটনা নিয়ে চিন্তিত সকলেই। ড্রেনের জলে কিভাবে এত পরিমাণ টাকা ভেসে এল, বা এই কাজের পিছনেই কাজের হাত রয়েছে , তারজন্য তদন্ত শুরু হয়েছে৷ কোন ব্যক্তির বেআইনি হিসাব বহির্ভূত টাকা সে ড্রেনের জলে ফেলে দিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । অন্যদিকে অনেক মানুষজন বলছেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এ সময় তৎপর রয়েছে।