২০২২ সালের প্রথম থেকেই রোজই দৈনিক সংক্রমণের হার একটু একটু করে বাড়ছে। কিন্তু চলতি মাসে এই প্রথম বারের জন্য কিছুটা হ্রাস পেল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এর রিপোর্ট অনুযায়ী রবিবারের তুলনায় সোমবার করোনা দৈনিক সংক্রমনের হার ৫ শতাংশ কমেছে, কিন্তু বেড়েছে সংক্রমণের হার। একই সঙ্গে এই প্রথম ওমিক্রনে সক্রিয় রোগীর সংখ্যার নিরিখে শীর্ষ স্থানে উঠে এল পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১৬৫০ জন। তবে মোট আক্রান্তের নিরিখে বাংলা কে পেছনে ফেলে তালিকার শীর্ষে এখনও মহারাষ্ট্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা সংক্রামিত হয়েছেন ২ লক্ষ, ৫৮ হাজার ৮৯ জন, যা ররিবারের তুলনায় বেশ কিছুটা কম।
তবে সাথে সাথেই বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণের হার এবং প্রাণহানির সংখ্যা। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১৬.২৮ শতাংশ। যা সোমবার সেই পরিসংখ্যান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯.৬৫ শতাংশে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনাভাইরাস এর হানায় ৩৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিন রবিবার দেশে ৩১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এই দেশে এই যাবত মোট মৃত্যু হল ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫১ জনের। সংক্রমণের সাপ্তাহিক হার ১৪.৪১ শতাংশ।
দেশে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ ৮০ হাজার ২৫৩ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ১৭ হাজার ৮২০ জন। দেশে করোনায় সুস্থতার হার এই মুহূর্তে ৯৪.২৭ শতাংশ।
কপালে ভাঁজ ফেলছে ক্রমবর্ধমান ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। এই মুহূর্তে ভারতে ওমিক্রন ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে ৮ হাজার ২০৯ জনের শরীরে, যার মধ্যে ৩ হাজার ১০৯ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
যে ভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে একদিনে তিন লক্ষ করোনা আক্রান্ত হবে বলে যে ভবিষ্যৎ বাণী বিশেষজ্ঞরা করেছিলেন, তা বাস্তবায়িত হতে খুব বেশি দিন সময় লাগার কথা নয়। বিশেষজ্ঞরা আগেই বলেছিলেন, ওমিক্রনের প্রভাবে দেশে যে সাম্প্রতিক করোনা-আক্রান্তের বিস্ফোরণ দেখা দিয়েছে, তাতে জানুয়ারির মাসের শেষে দৈনিক ১০ লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে সংক্রমণ।