দিল্লির জাফরাবাদ এলাকার একটি বাড়িতে একসাথে পরিবারের ৪ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান করা হচ্ছে, ওই পরিবারের গৃহকর্তা প্রথমে নিজের স্ত্রী ও উভয় মেয়েকে গুলি করে এবং পরে নিজেকে গুলি করে।
জানা গেছে, জাফরাবাদে ইসরার আহমেদ নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেছে। এতে ঘটনাস্থলেই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যু হয়। এরপর নিজেকেও গুলি করে আত্মহত্যা করেন ইসরার। আশ্চর্যের বিষয়, ওই সময় ওই ব্যবসায়ীর দুই ছেলেও বাড়ির বাইরে দাড়িয়েছিল। তারা কাছাকাছি উপস্থিত থাকলেও ইসরার তাদের কিছুই করেননি। এমন পরিস্থিতিতে কী কারণে ইসরার তার স্ত্রী ও শুধুমাত্র দুই মেয়েকে খুন করেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এর আগেও দিল্লিতে এমন ঘটনা দেখা গেছে যেখানে পরিবারের একজন সদস্য তার অন্য আত্মীয়দের হত্যা করেছে। তবে জাফরাবাদের ক্ষেত্রে কী কারণে এমনটি করা হয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় পুলিশও প্রকাশ্যে কিছু বলার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দুই দিনে দেশের রাজধানী দিল্লী তে বেশ কটি বড় ধরনের অঘটন ঘটতে দেখা গেছে। যার মধ্যে একটি বেশ চাঞ্চল্যকর। বৃহস্পতিবার মোদন গাড়ি এলাকার একটি সরকারি স্কুলে ছুরি মারার ঘটনা ঘটেছে। স্কুলে ব্রেকের সময় মোহিত নামের এক ছাত্রের সঙ্গে তার অন্য সহপাঠীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। শুরুতে ঝগড়া শুধু হাতাহাতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলেও পরে রাগে মোহিত ছুরি দিয়ে সঙ্গীর ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় তিন ছাত্র আহত হয়েছে, যারা এইমস-এ চিকিৎসাধীন।