উত্তরপ্রদেশের আগ্রা থেকে এক চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে ২০২১ সালের নভেম্বরে পরিদর্শক নিয়োগের অনলাইন পরীক্ষায় কিছু প্রার্থী মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে ২ ঘন্টার একটি পেপারের সব সমস্যার সমাধান করে দেয়। বিষয়টি পুলিশের নজরে এলে তারা এটা জানতে পেরে অবাক হয়ে যান। সর্বোপরি, ওই পরীক্ষার্থীরা কীভাবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নগুলির উত্তর দিলেন এটা বুঝতে পারছিলেন না তারা। অবশেষে পুলিশ তদন্ত শেষে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
পরিদর্শক নিয়োগের এই পরীক্ষাটি ২০২১ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং চার গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত সেই পরীক্ষা দিতে বসেছিল। পরীক্ষার পর যখন যাচাই-বাছাই করা হয়, তখন দেখা যায়, চার অভিযুক্তের ২ ঘণ্টার পেপার সমাধান করতে সময় লেগেছে মাত্র ৩ মিনিট। অর্থাৎ এক এক সেকেন্ডে এক একটি প্রশ্ন তারা সমাধান করে ফেলেছে। এতে পরিদর্শকদের সন্দেহ জাগে। সন্দেহের পর মামলার তদন্ত শুরু হয় এবং চার আসামিকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পুলিশ কর্মীরাও বিশ্বাস করতে পারছেন না কিভাবে এক সেকেন্ডে একটি প্রশ্ন সমাধান করা যায়।
এসপি সিটি বিকাশ কুমার জানান, কম্পিউটারে অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেম বসানো হয়েছে। যাতে পরীক্ষার্থীরা কিছু কারসাজির করছেন কিনা সেটি নিশ্চিত করা যায়। এইভাবে ফাঁদে পড়ে চার প্রার্থী। রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের নির্দেশে শাহগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। বিচারে আগ্রা, গাজিয়াবাদ ও আলিগড়ের কেন্দ্রীয় প্রশাসকদেরও নাম রয়েছে, তাদের গ্রেফতার করতে হবে। বিকাশ কুমার বলেন, এক মিনিটে ১৮টি করে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ৪ জন গ্রেপ্তার হয়। পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষা জালিয়াতির সাথে জড়িত অভিযুক্তদের নাম হল অঙ্কিত, সন্দীপ, লভ কুমার এবং বেদ প্রকাশ। চারজনই আগ্রা, আলিগড় এবং গাজিয়াবাদে অনলাইন পরীক্ষা দিয়েছে। অভিযুক্তদের রেকর্ড পারফরম্যান্স তাদের এখন কারাগারের নিয়ে ফেলেছে। পুলিশ এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে অভিযুক্তরা প্রতারণা করার জন্য কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল। সবাই যেভাবে মাত্র ১ সেকেন্ডে জটিল প্রশ্নের সমাধান করে ফেলল।
এ বিষয়ে এসপি সিটি আগ্রা বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এ ঘটনায় কেন্দ্র প্রশাসকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।