প্রায়ই সকলের চোখ পড়ে অনেক অদ্ভুত খবরে। আপনারা সবাই জানেন যে এই পৃথিবী রহস্যে ভরা। কিন্তু তাও মাঝে মাঝে এমন সত্য সামনে আসে, যা দেখে সবাই অবাক হয়। মাঝে মাঝে যখন প্রকৃতির বিরুদ্ধে কিছু সত্য বেরিয়ে আসে, তখন মানুষের পক্ষে তা বিশ্বাস করা কঠিন হয়। যেমন এই ঘটনাটি।
আমরা প্রত্যেকেই জানি প্রকৃতির নিয়মে একজন মহিলাই সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। যদি আপনাকে বলা হয় যে 28 বছরের এক যুবক একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন!! তাহলে আপনি কী বিশ্বাস করবেন? তবে এটা একেবারেই সত্য যে একজন আঠাশ বছর বয়সী ব্যাক্তি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
কিভাবে সম্ভব?
আমেরিকার পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় বসবাসকারী এই ব্যক্তির নাম অ্যাশ প্যাট্রিক শেড। তিনি জন্মের সময় অবশ্য পুরুষ ছিলেন না। নারী ছিলেন। কিন্তু অ্যাশ তার নারী শরীর নিয়ে খুশি ছিলেন না। তিনি মহিলা থেকে পুরুষ হতে চাইতেন এবং হয়েওছিলেন। কিন্তু তা সত্বেও তিনি ২০২০ সালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কন্যা সন্তানের জন্মের পর সারা বিশ্বে আলোচনা হয়েছিল এই ব্যাক্তি অ্যাশকে ঘিরে।
আসলে যখন তিনি লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য চিকিৎসা করছিলেন তখন তিনি বেশ কিছু হরমোন গ্রহণ করছিলেন যেগুলো তার শরীরে পুরুষ ভাব আনছিল ধীরে ধীরে।
সে কারণেই তিনি তার লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য টেস্টোস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেন ব্লকার হরমোন গ্রহণ করতে শুরু করেছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে তার শরীর নারী থেকে পুরুষে পরিবর্তিত হতে থাকে। শরীরে পরিবর্তন দেখে খুব খুশি হয়েছিলেন অ্যাশ। তার মনে হয়েছিল তার পুরুষ হওয়ার স্বপ্ন শীঘ্রই পূরণ হতে চলেছে।
কিন্তু ডেটিং সাইটে পরিচয় হওয়া এক অজানা ব্যক্তির সাথে এক রাত কাটানো তার জীবন পাল্টে দেয়। অ্যাশ প্যাট্রিক শেড একজন পিএইচডি ছাত্র এবং একজন মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন। একদিন ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে এক অচেনা ব্যাক্তির সঙ্গে দেখা হয় তার। এরপর দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরে জানা যায় অ্যাশ গর্ভবতী। যখন থেকে অ্যাশ জানতে পারে যে সে গর্ভবতী, সে তার হরমোনাল ওষুধ বন্ধ করে দেয়। এর পরে তিনি তার সন্তানের জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অবশেষে সে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।
মেয়ে এবং স্বামী নিয়ে বেশ খুশি তিনি। রোনান নাম রেখেছেন তিনি কন্যা সন্তানের। তিনি বলেছেন যে করোনা মহামারীর লকডাউনের সময়টি তার জন্য আরও ভাল গিয়েছিল কারণ তিনি সেই অবসরে তার মেয়েকে বড় করছেন। অ্যাশ বলেছিলেন যে তিনি বর্তমানে তার ২৮ বছর বয়সী স্বামী জর্ডানের সাথে থাকেন, যিনি সন্তানের খুব যত্ন নেন। তিনি বলেছিলেন যে তিনি তার গর্ভ ধারণ করা নিয়ে খুব খুশি।