হাসপাতালের বিল্ডিংয়ের ছ’তলা থেকে সোজা নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক তরুণী। বৃহস্পতিবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। হঠাৎ করে ওই তরুণীর এমন কাজে হতভম্ব হয়ে যায় উপস্থিত সকলে। দ্রুত খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কি ঘটেছিল? হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার নিজের দাদার সঙ্গে হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন সায়রা খাতুন নামে ওই তরুণী। তার বয়স ২৬ বছর। আচমকাই হাসপাতালের ছয় তলার একটি ফাঁকা জায়গা থেকে নিচে ঝাঁপ দিয়ে দেন তিনি। কিন্তু ফাঁকা জায়গা কেন ছ’তলার উপরে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে কোন কারনে হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ হলে বা কোন ইমারজেন্সি তৈরি হলে হাসপাতালের মধ্যে সকলের প্রাণ বাঁচাতে ওই ফাঁকা জায়গাটি রাখা হয়েছে।
এই দিন ডাক্তার দেখাতে এসে সায়রা সকলের নজরে নিয়ে কোনোভাবে সেই জায়গাতেই পৌঁছে যান। এরপরে আচমকাই ছ’তলা থেকে সোজা নিচে ঝাঁপ দিয়ে দেন তিনি। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়ে যায়। এই ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে জোর শোরগোল পড়ে যায়। তাকে দেখতে গিয়ে দেখা যায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। খবর যায় পুলিশে। দ্রুত সেখানে পৌঁছায় পুলিশের টিমও। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে তারা এই ঘটনার তদন্ত করে দেখছে। তবে জানা গিয়েছে ওই তরুণী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। সম্ভবত এই কারণেই ঘটিয়েছেন তিনি এমনটা।
মালদা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার পুরঞ্জন সাহা এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছে, ‘‘ছাব্বিশ বছর বয়সী ওই তরুণী মানসিকভাবে সুস্থ নন। উনি এখানে ওনার দাদার সাথে ডাক্তার দেখাতেই এসেছিলেন। হঠাৎ করেই সবার অলক্ষে তিনি ছ’তলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন। ওঁকে সাথে সাথেই উদ্ধার করে হাসপাতালের ইমারজেন্সী বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তবে ততক্ষণে মারা গিয়েছে ওই তরুণী।’’
তথ্য সূত্র: আনন্দবাজার