প্রায় মাসখানেক আগে একটি সুপারমুন চাক্ষুস করেছিলাম আমরা। সেটি ছিল ব্লাডমুন বা রক্তচন্দ্র। সেদিনই হয় বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ। তার কিছুদিন পরে হয় সূর্যগ্রহণ। এবার আরও একটি মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছি আমরা।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) এই বছরের শেষ সুপার মুন দেখা যাবে। এদিন চাঁদ লালচে বর্ণ ধারণ করবে। একে বলা হয় স্ট্রবেরি মুন। অন্যদিনের তুলনায় এদিন প্রায় ১২ শতাংশ বড় দেখাবে চাঁদ।
পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার কিলোমিটার। কিন্তু সুপারমুনের ক্ষেত্রে এই দূরত্ব কমে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭০০ কিলোমিটারে নেমে আসে। চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে। কক্ষের মাঝামাঝি চলে এলে চাঁদের দূরত্ব কমে যায়। তখন চাঁদ বড় দেখায়। পৃথিবীর ছায়ায় যখন চাঁদ পুরোপুরি ঢাকা পড়লে হয় চন্দ্রগ্রহণ। এই সময় সূর্যের সাত রঙের মধ্যে থাকা লাল রঙের তরঙ্গ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে চাঁদে পৌঁছায়। তাই পূর্ণ গ্রহণের সময় লাল রঙের দেখায় চাঁদ। তবে এদিন গ্রহণ না থাকলেও লালচে চাঁদ দেখা যাবে।
কেন স্ট্রবেরি মুন নাম?
পৃথিবীর ছায়ায় যখন চাঁদ পুরোপুরি ঢাকা পড়ে, তখন হয় চন্দ্রগ্রহণ। এই সময় সূর্যের সাত রঙের মধ্যে থাকা লাল রঙের তরঙ্গ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে চাঁদে পৌঁছে যায়। তাই পূর্ণ গ্রহণের সময় চাঁদ লাল রঙের লাগে। তবে এদিন গ্রহণ না থাকলেও লালচে চাঁদ দেখা যাবে।
তবে মার্কিন আদিবাসী সম্প্রদায় কৃষিকাজ শুরুর এই মরশুমে স্ট্রবেরি চাষ করে। সেই কারণে এই সময়ের সুপারমুনকে তাঁরা স্ট্রবেরি মুন বলে থাকেন। পৃথিবীর অন্য অনেক জায়গাতেই এই সুপারমুনের অন্য নাম রয়েছে।