গাজিয়াবাদের মোদীনগরে নয়াদিল্লি-দেরাদুন জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই ছাত্রী। শনিবার রেলের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রীদের নাম প্রিয়া (১৭) এবং শিবানী (২০) এবং তারা গাজিয়াবাদের মোদীনগরের নন্দনগরী কলোনীর বাসিন্দা। জানা গিয়েছে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গৃহস্থালির জিনিসপত্র কিনে বাড়ি ফেরার সময় এ ঘটনা ঘটে।
উত্তর রেলের আধিকারিকদের বক্তব্য অনুযায়ী, ট্রেন চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেছিলেন যে ট্রেনটি যখন আপ লাইনে ছিল, তখন ডাউন লাইনে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পণ্যবাহী ট্রেন দেখে মেয়ে দুটি ক্রসিংয়ে দাড়ালেও জনশতাব্দী ট্রেন দেখতে পায়নি। কর্মকর্তারা বলেছেন যে চালক দাবি করেছেন যে জনশতাব্দী যেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন সেই ট্র্যাকের উপর দুটি মেয়ে কে তিনি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন এবং তার বিবৃতিতে বলেছেন যে তিনি বেশ কয়েকবার হর্ন বাজিয়েছিলেন এবং এমনকি জরুরি ব্রেকও প্রয়োগ করেছিলেন, কিন্তু মেয়েদের বাঁচাতে ব্যর্থ হন। ট্রেন থামানো যায়নি সময়মত।
কিন্তু এই অ্যাক্সিডেন্ট ঘিরে প্রশ্ন উঠছে মেয়েদুটি ট্রেনের আওয়াজ কেন শুনতে পেল না? প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রেলের ক্রশিংয়ের খুব সন্নিকটে একটি ফাংশান হচ্ছিল। সেখানে ডিজে বাজানো হচ্ছিল। প্রচন্ড আওয়াজের কারণে অন্য শব্দ শোনা বেশ মুশকিল ছিল। অপরদিকে ওই সময়ই রেললাইনে ধারে ছিলেন ওই দুজন ছাত্রী । বাসিন্দাদের দাবি, ট্রেনটি হর্ন দিয়েছিল। কিন্তু ডিজের এত জোর শব্দ ছিল, সম্ভবত সেকারণে ট্রেনের হর্ন শুনতে পায়নি ছাত্রীরা। তারপরই ধাক্কা দেয় ট্রেনটি।
উভয় মেয়ের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দুটি মেয়ের মধ্যে প্রিয়া নামক মেয়েটি দ্বাদশ শ্রেণিতে এবং শিবানী বিএসসি করছিলেন। গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) মোদীনগরের ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর বাবুরাম সিং জানিয়েছেন, মৃতদেহগুলি অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রেলওয়ে জানিয়েছে যে তাদের বাবা-মায়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে, ময়নাতদন্ত না করেই উভয় মেয়ের মৃতদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।