Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

হঠাৎ করেই অসুস্থ পুরো পরিবার, তারপরেই মারা গেল ২ জন, কি ভাবে ঘটলো এমনটা?

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের গ্রামীণ এলাকা মহুতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এক পরিবারের সব সদস্য। এরপর তাদের দুই ছোট ছোট সন্তান মারা যায়। এই খবর পেয়েই সতর্ক হয়ে গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তারা হঠাৎ করেই গ্রামে প্রচার চালাচ্ছে। তবে শিশুদের মৃত্যুর কারণে প্রশ্ন উঠছে স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ইন্দোরের কাছে অবস্থিত মহুর বৈগ্রামে তিন শিশুর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। এর পর দুই শিশুর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে রাহুল গাদগে নামক এক ব্যক্তি তার সন্তান শিবংশ, যুবরাজ এবং নায়েটিককে জ্বর হলে গ্রামেরই একজন ডাক্তারকে দেখিয়েছিলেন।

রাহুল বলেছেন যে তিন ছেলের চিকিৎসা করেছেন ডাঃ বালমুকুন্দ সিলভাদিয়া এবং ওষুধ দিয়েছেন। রাত ২টোর পর শিবংশের অবস্থার অবনতি হলে তিন ছেলেকে নিয়ে বাডওয়াতে যান, সেখানে শিবংশকে হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর পরে পরিবার নেহেরু হাসপাতালে পৌঁছায়। এখানে চিকিৎসক যুবরাজকে মৃত ঘোষণা করেন এবং নাইটিককে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করেন। মৃত যুবরাজ ও চিকিৎসাধীন নায়েটিক যমজ ভাই।

জানা গিয়েছে, যুবরাজ ও শিবংশকে প্রথমে গ্রামেরই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য। সেখানে তাদের ওষুধ দেওয়া হয়। এরপর যুবরাজ ও শিবংশের অবস্থার উন্নতি হয়। পরিবারের দাবি, সন্ধ্যা নাগাদ শিশুরা প্রায় সুস্থ ছিল। পাশের দোকানে গিয়ে জিনিসও নিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু রাত আড়াইটার পর হঠাৎ তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তারপর পরিবার একটি অ্যাম্বুলেন্স এর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষাও করে। তারা ১০৮ ডায়াল করেও অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা পাননি। কিছুক্ষণ পর তিনি গাড়ির ব্যবস্থা করে বাচ্চাদের নিয়ে হাসপাতালে যান, কিন্তু সেখানে একটি ছেলেকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

অপর শিশুটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এরপর সন্তানদের নিয়ে ইন্দোরে পৌঁছে যান রাহুল। এখানে পরীক্ষা চলাকালীন চিকিৎসক যুবরাজ ও শিবংশকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা নায়েটিককে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। এখানে একদিন চিকিৎসার পর বৃহস্পতিবার নায়েটিকের অবস্থার উন্নতি হয়। বিভাগের প্রধান প্রীতি মালপানি জানিয়েছেন, শিশুটির অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তিনি এই মুহূর্তে স্থিতিশীল। এছাড়াও, মালপানি বলেছেন যে সাধারণ রোগ হলেই চিকিত্সা করা উচিত। চিকিৎসায় অবহেলা ও বিলম্ব অনেক সময় প্রাণঘাতীও হতে পারে।

অনেক প্রশ্ন উঠছে

তবে দুই নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এলাকার স্বাস্থ্য সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। অনেকের দাবি, এখানে সার্বক্ষণিক কমিউনিটি হাসপাতাল খোলে না। এখানে ডাক্তার পাওয়া যায় না। তবে শিশুদের মৃত্যুর পর হঠাত্‍ই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। হঠাৎ পুরো এলাকায় তৎপরতা বেড়ে যায়। এলাকায় অনেক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত পাওয়া গেছে, তাদের নমুনা নেওয়া হয়েছে এবং ওষুধও দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের দল শিশুদের চিকিৎসা করা চিকিৎসকের ক্লিনিকে পৌঁছালেও তাকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।

তার ক্লিনিকও বন্ধ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য দফতরের ওই আধিকারিক দাবি করেন, তাঁর ক্লিনিকে তল্লাশি চালানো হলেও সেখানে কোনও আপত্তিকর ওষুধ বা অন্যান্য সামগ্রী পাওয়া যায়নি। একটি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের স্টক পাওয়া গেছে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে সেই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়নি। সিএমএইচও বিএস সেত্য দাবি করেছেন যে ডাক্তারের কাছ থেকে প্রাথমিক চিকিত্সা হয়েছিল এবং তার ক্লিনিক বর্তমানে নিবন্ধিত নয়। তিনি কোন পদ্ধতিতে চিকিৎসা করতেন তা জানা যায়নি। এই সব তদন্ত করা হচ্ছে।

Related posts

চলন্ত ট্রেনে হঠাৎই প্রসব বেদনা মহিলার! ট্রেনেই নবজাতক দেখলো পৃথিবীর আলো

News Desk

কর্মরত তরুণীকে অশ্লীল মেসেজ, চূড়ান্ত নোংরামি! কাঠগড়ায় বিদ্যুত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার

News Desk

এই শহরে তাণ্ডব চালাচ্ছে ওমিক্রন! মর্গে ধরানো যাচ্ছে না মৃতদেহ, ভরে রাখতে হচ্ছে কন্টেনারে!

News Desk