চীনে আবারও পাওয়া গেল নতুন এক ভাইরাসের হদিশ। তবে এই ভাইরাস এক আধ বছর নয় একেবারে ১৫ হাজার বছরের পুরনো ভাইরাস (Virus)-এর হদিশ পাওয়া গেল। বিষয়টি ঠিক কী, জেনে নিন বিশদে।
সম্প্রতি চিনের অধিগৃহিত তিব্বতে হিমবাহের নীচে দু’টি বরফের নমুনার পরীক্ষা করার সময় এক ভাইরাসের হদিশ পেলেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা জানাচ্ছেন সেই ভাইরাসগুলো প্রায় ১৫ হাজার বছরের পুরনো। বরফের আস্তরণ এর নিচে ভাইরাসটি জমে থাকার জন্য মুছে যায়নি এর অস্তিত্ব। এই তথ্য সামনে এসেছে মাইক্রোবায়োমি জার্নালে প্রকাশিত এক রিপোর্টে। ভাইরাসের বিবর্তন ঠিক কীভাবে হয়েছে তা বিশ্লেষণ করে দেখার জন্য এই ভাইরাসটির তথ্য অত্যন্ত কার্যকরী বলে মনে করছেন ভাইরলিজিস্টরা।
চিনা গবেষক জিহি পিং ঝং এই বিষয়ে জানান, বহু যুগ ধরে জমেছিল এই হিমবাহ। হিমবাহের মধ্যে মিশে রয়েছে একাধিক ভাইরাস। এই ভাইরাসগুলো মিশেছিল ঘাস, ধুলোর ইত্যাদির সঙ্গে। তিনি আরও বলেন, ‘এই ভাইরাসগুলি বিশ্লেষণ করলে আমরা ১৫ হাজার বছর আগের পরিবেশ, সেই সময় ভাইরাসের চারিত্রিক বৈশিষ্ট কেমন ছিল ইত্যাদির বিষয়ে জানা সম্ভব।’ এই হিমবাহ মধ্যে মিশে ছিল মোট ৩৩টি ভাইরাস। এরমধ্যে চারটি ভাইরাসকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। কিন্তু বাকি ২৮টি ভাইরাসের কি পরিচয় সেই বিষয়ে জানা নেই গবেষকদেরও। কিন্তু কোনো ভাইরাসই বরফে থাকার কারণে নষ্ট হয়নি। এই ভাইরাসগুলি কোনো এক সময় পৃথিবীতে প্রভাব বিস্তার করেছিল, এমনটাই মনে করছে বিজ্ঞানীদের একাংশ। তবে ভাইরাসগুলি খুব কম সংক্রামক এবং মাটিতেও মিলেছে ভাইরাসগুলো এমনটাই দাবি তাঁদের।
প্রসঙ্গত, বুধবারও দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ হাজারের গন্ডি ছাপিয়ে গিয়েছে। আজ কিছুটা কম হল সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ৩৮৩ জন। যা গতকালকের তুলনায় বেশ খানিকটা কম। বেড়েছে করোনা জয়ীর সংখ্যাও। গতকাল যেখানে ৩৬ হাজার ৯৭৭ জন করোনা রোগী সেরে উঠেছিলেন, সেখানে এদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৮ হাজার ৬৫২ জন। অনেকটা হ্রাস পেয়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এদিন দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫০৭।