তীব্র গরমের মধ্যে রাজস্থানের মরুভূমির পথে হাঁটতে হাঁটতে ভীষণ জলকষ্টে মারা গেল মাত্র ৬ বছরের এক শিশুকন্যা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে ওই শিশুর ঠাকুমাকে। স্থানীয় প্রশাসনের সূত্রে অনুমান, নাতনী আর ঠাকুমা দুজন রাজস্থানের জালোরে মরুভূমির মধ্যে নিজেদের রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিলেন। রাজস্থানে এই মুহূর্তে চলছে তীব্র দাবদাহ। রাজ্যের তাপমাত্রা চলছে প্রায় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
জানা গিয়েছে নাতনিকে সাথে করে নিয়ে শিশুটির ঠাকুমা সেই দুপুরের তীব্র গরমের মধ্যেই রায়পুর থেকে রানিওয়াড়া যাচ্ছিলেন। এই দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার রাস্তা পার করতে মরুভূমির পথ ধরেছিলেন তারা। জানা ষাটোর্ধ্ব সুখীদেবী তাঁর ৬ বছরের নাতনী অঞ্জলীকে নিয়ে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। করোনার কারণে লকডাউনের কোনও যানবাহন পাননি তাঁরা। এই কারণে পায়ে হেঁটেই নাতনিকে নিয়ে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন সুখীদেবী।
কিছুদূর এসে রোতোলে টিলার কাছে অসুস্থ বোধ করেন দুইজন। জালোরের কাছের রাস্তায় বিশ্রাম নিতে বসে পড়েন ঠাকুমা ও নাতনী। জলের অভাবে আর গরমে আস্তে আস্তে নেতিয়ে পড়ে শিশুটি। জ্ঞান হারান শিশুটির ঠাকুমাও। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে শিশুটির ঠাকুমা কে জল খাওয়ানোর পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু জলের অভাবে মারা যায় ৬ বছরের মেয়েটি। ময়নতদন্তের পরে জানা গিয়েছে জল না পেয়েই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে।
এই ঘটনার পর রাজস্থানের অশোক গহলৌত এর সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। প্রকাশ জাভড়েকর ট্যুইটে লিখেছেন, ৯ ঘণ্টা জলকষ্ট ভোগ করে শিশুর মৃত্যু। এই লজ্জাজনক ঘটনার জন্য দায়ী রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার। এখন চুপ কেন সনিয়া , রাহুল বা প্রিয়ঙ্কা গাঁধী?