ফের তথ্য পাচারের চেষ্টা পায়রার পায়ে । এবার একটি পায়রা ধরা পড়ে পাঞ্জাবের (Punjab) রোরানওয়ালা আউটপোস্টে । সেই পায়রাটির পায়ে আটকানো রয়েছে সংকেত লেখা একটি কাগজ। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পায়রাটির বিরুদ্ধে । এর আগে গত বছর এমনই একটি পায়রা ধরা পড়েছিল জম্মু-কাশ্মীরে । পাকিস্তান থেকে পায়রাগুলি পাঠানো হয়েছিল বলেই দাবি। পায়রার পা থেকে সংকেত লেখা কাগজ উদ্ধারের পর শুরু হয়েছে তদন্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৭ এপ্রিল নীরজ কুমার নামে এক সেনা কর্মী রোরানওয়ালায় সেনা ক্যাম্পের সামনে ডিউটি করছিলেন । হঠাৎই তাঁর কাঁধে এসে বসে একটি সাদা-কালো পায়রা । তিনি সেটিকে উড়ে যাওয়ার আগে ধরে ফেলেন। নীরজ পায়রাটিকে পরীক্ষা করতে গিয়ে চমকে যান । দেখেন একটি সাদা কাগজ তার পায়ের সঙ্গে আটকে রয়েছে । নীরজ সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওই বর্ডার আউট পোস্টের কমান্ডার ওমপালকে দ্রুত বিষয়টি জানান। পায়রাটিকে ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে পায়ের কাগজটি খোলা হয় । দেখা যায় তাতে । একটি নম্বর লেখা আছে তবে কী নম্বর, কোন উদ্দেশে লেখা ছিল সে সম্পর্কে সেনা বা পুলিশের তরফে বিস্তারিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে পায়রাটি আসলে যার উদ্দেশে সীমান্তর ওপার থেকে পাঠানো হয়েছিল, তাঁকে পুলিশ এবং সেনা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে । পায়রাটি ধরা পড়ার পর একটি এফআইআর আইন মেনে দায়ের করা হয়েছে অমৃতসরের কাহাগড় থানায়।
গত বছর মে মাসে এমনই একটি পায়রা ধরা পড়ে জম্মু কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় পাক সীমান্ত থেকে । সেবারও সন্দেহ করা হয়েছিল, গুপ্তচরবৃত্তির জন্য পাকিস্তান এই পায়রাগুলিকে প্রশিক্ষণ দেয়। সে বারও পায়রার পা থেকে এক গোপন সংকেত উদ্ধার করা হয়। কিন্তু পায়রাটি তারপরই পাকিস্তানের দিকে উড়ে পালায়। সম্প্রতি পুরনো পদ্ধতিতে পায়রার মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদানের বিষয়টি নজরে আসে বিএসএফের। বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।