করোনার নতুন রূপে কাহিল গোটা দুনিয়া। ১ জন মানুষের সংস্পর্শে এসেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন একলাফে ৫০০ জন।
যত দিন যাচ্ছে ততই যেন দ্রুত হারে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এমনকি উদ্বেগ বাড়িয়ে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বাতাসের মধ্যে ভাসমান করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে।
তবে বিজ্ঞানীদের দাবী খোলামেলা স্থানের চেয়ে বদ্ধ কামরায় অনেক বেশি করোনায় আক্রান্ত হবার সম্ভবনা। বিশেষত,এয়ার কন্ডিশনার-র ঠান্ডা হাওয়াও এই গরমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আমাদের শরীরে মূলত শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাতাসে ভেসে থাকা জলকণার দ্বারা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। হাঁচি, কাশি, কিংবা একে অপরের কথা বলার মাধ্যমেই একে অপরের থেকে ছড়িয়ে পড়ছে এই জীবাণু।
শীততাপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র বা এয়ার কন্ডিশনার এই করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনাকে বহুংশে বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এহেন দাবী তে অনেকের মনেই প্রশ্ন ঘরের এসি-তে ত বাইরে হাওয়া ঢুকছে না, তাহলে করোনা ভাইরাস কীভাবে ছড়াবে এসি-র মাধ্যমে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যেহেতু এসি-র হাওয়া একই ঘরের মধ্য ঘুরপাক খায় ফলে কোনো করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি যদি সেই ঘরে থাকে তবে তা খুব সহজেই যিনি করোনায় আক্রান্ত নন তাকে আক্রান্ত করবে । আর তাতেই বাড়ছে সমস্যা। সেই জন্য বিজ্ঞানীদের মত এসি-তেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।
তাই বর্তমান করোনা পরিস্থিতির নিরিখে যেভাবে হু হু করে করোনার প্রকোপ বাড়ছে তাতে চিকিৎসকরা এই তীব্র গরমেও এসি ব্যবহার করতে নিষেধ করে দিচ্ছে।