২০২০ সাল থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের চেনা জগৎ দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ওয়ার্ক ফ্রম হোমে বড়রা যদিও বাড়িতে বসে অফিসের কাজ সামলে নিচ্ছে ভিডিয়ো কল এর মাধ্যমে। সোশাল মিডিয়ায় যোগাযোগ থাকছে পরিচিতদের সাথে। কিন্তু সমস্যায় আছে শিশুরা। তাদের পরিচিত জগৎ পাল্টে গেছে পুরোপুরি। বাইরে খেলাধুলো বন্ধ, সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না বহু দিন। যে মোবাইল ছুঁলেই বকুনি খেতে হত, এখন সেই মোবাইল, ল্যাপটপেই চলছে লেখাপড়া। ক্লাস নিচ্ছেন ক্যামেরার সামনে বসা শিক্ষক। অনলাইনে শিক্ষকের থেকে ক্লাস করে, পড়া বুঝে হোমওয়ার্ক করতে হচ্ছে বাচ্চাকে। এমন অবস্থায় তাদের মানিয়ে নিতে অসুবিধে হওয়া স্বাভাবিক । তবে এই বিষয়ে সন্তানকে সাহায্য করতে হবে আপনাকেই।
প্রথমেই বুঝতে হবে, অনলাইন ক্লাস পড়ুয়াদের জন্য একেবারে নতুন একটা বিষয়। তাদের মানাতে কিছু অসুবিধে হবেই। বিশ্বাস রাখুন। ছোটো ছোটো বাচ্চারা সব পরিস্থিতিতে তাড়াতাড়ি শেখে, এই নিউ নর্মালের সঙ্গেও তারা দ্রুত মানিয়ে নেবে। আপনাকে শুধু ধৈর্য্য ধরতে হবে, আপনার সন্তানের পাশে থাকুন, ভরসা জোগান। সাথে সাথে খেয়াল রাখুন যে সন্তানের সামনে খুঁত বাছবেন না শিক্ষকেরও, এই পরিস্থিতিতে সেও কিন্তু নতুন, তাকে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিন। আস্তে আস্তে ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক জায়গাতেই ফিরে যাবে।
এই নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে আপনার সন্তান কে সময় দিন। হয়তো আপনার সন্তান যত দ্রুত স্কুলে পড়াশুনার সাথে মানিয়ে নিত, নতুন এই অনলাইন ক্লাসের সঙ্গে সেই ভাবে মানিয়ে নিতে পারছে না। কিন্তু আপনাকেও বুঝতে হবে এটা একটা বড় জীবনযাত্রা পরিবর্তন।
আপনার সন্তানের অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি
বাচ্চার খেলাধুলোর জন্যও সময় রাখুন অবশ্যই। অনলাইন ক্লাস আর শুধুমাত্র ভিডিয়ো গেমের মাধ্যমে রিক্রিয়েশন খুঁজলে কিন্তু মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে সমঝোতা করতে হবে। বাইরে না বেরোলেও বাড়ির ছাদে বা এমন কোনো জায়গায় খেলাধুলো করা উচিত। এতে মন ভালো থাকবে।
সন্তানকে বই পড়ানোর অভ্যাস করান। গল্প পড়ে শোনান। মাঝে মাঝে কিছু একটা লিখতে বলুন। এই নতুন অবস্থায় আগের অভ্যেসগুলো বজায় রাখার দায় আপনাকেই নিতে হবে।