এই করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলে জয় লাভ করতে হলে অবশ্যই নিতে হবে করোনার টিকা (Corona vaccine)। অথচ অনেকেই ভয় পান ইঞ্জেকশনে। তাহলে?
চিন্তা নেই। এরকম মানুষদের জন্য জাইডাস ক্যাডিলার করোনা টিকা জাইকোভ-ডি (ZyCoV-D) আপনার জন্য সুখবর দিতে চলছে। তারা তৈরি করেছে ইঞ্জেকশনবিহীন করোনা ভ্যাকসিন। তবে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের মতো দুটি ডোজ নয়, এই ভ্যাকসিন তিন ডোজের নিতে হবে। তবেই শরীর সুরক্ষিত থাকবে করোনার হামলা থেকে। এখন এই ইঞ্জেকশনবিহীন করোনা টিকা নিয়ে DCGI’এর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য। সংস্থার তরফে বৃহস্পতিবার তা ঘোষণা করা হল। এটিই প্রথম DNA ভ্যাকসিন করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) বিরুদ্ধে।
জরুরি ভিত্তিতে (Emergency use) জাইডাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিন জাইকোভ-ডি অনুমোদনের ছাড়পত্র পেলে তা ভারতের পঞ্চম করোনা টিকা হবে। এই মুহূর্তে ভারতের হাতে রয়েছ চারটি ভ্যাকসিন – কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন, স্পুটনিক ভি এবং মডার্নার টিকা। শেষটি প্রয়োগের অনুমোদন মিলেছে জরুরি ভিত্তিতে। জাইকোভ-ডি এবার অপেক্ষায়। দেশের ১৫ টি জায়গায় এখনও পর্যন্ত এই টিকার সফল পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে বলে দাবি সংস্থার। তাই DCGI’এর কাছে জাইডাস ক্যাডিলার আবেদন, মহামারী পরিস্থিতিতে তাদের এই টিকা প্রয়োগে অনুমোদন দেওয়া হোক জরুরি ভিত্তিতে।
এই টিকার ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছেন অনেকে যে বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য, তা হল ইঞ্জেকশনবিহীন ভ্যাকসিন। শরীরে কোনও সূঁচ ফোটানোর ব্যাপার নেই। জাইডাস ক্যাডিলার দাবি,এ ধরনের ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে ছোটদের কথা মাথায় রেখে । এই টিকা ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের জন্যও কার্যকরী বলে দাবি। ট্রায়ালে কোভিড উপসর্গ রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৬শতাংশের বেশি কার্যকর হয়েছে তাদের শরীরে। যাঁদের ইঞ্জেকশনের ভয় রয়েছে, জাইকোভ-ডি তাঁদের জন্যও বেশ উপযোগী হতে চলেছে। এছাড়া এই ভাবনা ডোজ নষ্ট রুখতেও বলে জানাচ্ছে সংস্থা। তবে সেক্ষেত্রে নিতে হবে তিনটি ডোজ। এটি ডিএনএ প্রকৃতির ভ্যাকসিন। তাই করোনার মিউট্যান্ট স্ট্রেনের (Mutant Strain) বিরুদ্ধে তা কতটা কার্যকর, এ নিয়ে সংশয় আছেই।