প্রেমের জন্য মানুষে কত কি না করে! কিন্তু তাই বলে স্কুলে আগুন ধরিয়ে দেবে এমনটা কি ভাবা যায়? বিষয়টা কি?
২১ বছর বয়সী একটি ছেলের তার বান্ধবীর সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে তার ভাবী স্ত্রী স্কুলের পরীক্ষায় ফেল করে। ছেলেটি ভয় পেয়েছিল যে তার বিয়ে পিছিয়ে যেতে পারে এবং তার বাগদত্তাকে আবার একই ক্লাসে পড়তে হবে। তাই বিপজ্জনক পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যুবক। জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে ছেলেটি।
তার বান্ধবী পরীক্ষায় ফেল করেছে। এটা শুনে ছেলেটি এতটাই রেগে যায় যে সে তার বান্ধবীর স্কুলেই আগুন ধরিয়ে দেয়। সৌভাগ্যক্রমে এই ঘটনায় কেউ নিহত বা আহত হয়নি। এ ঘটনায় ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে ছেলেটি।
দ্য ন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি মিশরের মেনোফিয়া প্রদেশে অবস্থিত একটি স্কুলের যেখানে ২১ বছর বয়সী একটি ছেলে তার বান্ধবীকে বিয়ে করতে যাচ্ছিল। তাদের বাগদানও হয়ে গেছিল। কিন্তু এরই মধ্যে তার ভাবী স্ত্রী স্কুল পরীক্ষায় পাশ করতে অসমর্থ হয়।
এই কারণেই স্কুলে আগুন দেওয়া হয়েছে:
ছেলেটি ভয় পেয়েছিল যে তার বিয়ে পিছিয়ে যেতে পারে এবং তার বাগদত্তাকে আবার একই ক্লাসে পড়তেও হতে পারে। সব পরিস্থিতি দেখে সে স্কুলে আগুন দেয়, যার ফলে স্কুলের কন্ট্রোল রুম পুড়ে যায়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথিও পুড়ে গেছে। তবে কোনো মানুষ এই আগুনের কবলে না আসায় কিছুক্ষণের মধ্যেই ফায়ার ব্রিগেড আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরাধ করার পর ছেলেটি পালিয়ে গ্রামে আত্মগোপন করে। কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের নির্দেশে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার অপরাধ স্বীকার করেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আদালতে না পাঠানো পর্যন্ত ছেলেটিকে হেফাজতে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে মিশরের সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে।