এমআই তে কেনা হয়েছিল নতুন গাড়ি। সেই গাড়ির কিস্তি (EMI) শোধ করা ঘিরে তৈরী হয় জটিলতা। ক্রেতার দেওয়া চেক বাউন্স করে যায়। এরপরেই তাই নিয়ে গ্রাহক আর শোরুম কর্তৃপক্ষের মধ্যে শুরু হয় ঝামেলা। কিন্তু এই ঝামেলার যা পরিণতি হলো সেটি মর্মান্তিক। শোরুমে যাবার দুদিন পর যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হলো উত্তর ২৪ পরগনা নৈহাটি গাড়ির শোরুম এর ভিতর থেকেই। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে নৈহাটিতে। শোরুম কর্তৃপক্ষ বলেছেন তর্কাতর্কির পর যুবক আত্মহত্যা করে নিয়েছেন। এদিকে যুবকের পরিবারের দাবি তাকে আটকে রেখে মেরে ফেলা হয়েছে। নৈহাটি থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। আপাতত যুবকের দেহটি শোরুম থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই যুবকের নাম সাদ্দাম হোসেন। সাদ্দাম বারাসাত ১ নম্বর ব্লকের ছোট জাগুলিয়ার বাসিন্দা। মৃতের পরিবার অভিযোগ জানিয়েছে যে তাদের পরিবারের ছেলেকে শোরুম এর মধ্যেই পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। একটি বাইক কেনার পর প্রতিমাসে কিস্তিতে টাকা মেটানোর কথা ছিল। সেই কিস্তি দিতে না পারাতেই শোরুমে ডেকে প্রভার করা হয় ওই যুবককে, এমনটাই দাবি পরিবারের। এই ঘটনায় নৈহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে যুবকের পরিবার। তাদের দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই শো-রুমের ৩জন কর্মীকে আটক করেছে নৈহাটি থানার পুলিস।
পরিবার সূত্রে খবর মাস খানেক আগে তিনি নৈহাটির একটি বাইকের শোরুম থেকে বাইক কিনেছিলেন। সেই বাবদ তিনি ইএমআই এর টাকা পরিশোধ করার জন্য চেক দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই চেক বাউন্স হয়ে যায়। এরপরে ওই শো রুম থেকে মঙ্গলবার রাতে তাকে ডেকে পাঠানো হয়।
জানা গিয়েছে, সেই মত মঙ্গলবার শো-রুমে এসেছিলেন সাদ্দাম হোসেন নামের ওই যুবক। অভিযোগ, এরপর তাঁকে চেক বাউন্স করার জন্য শো-রুমের ভিতর মারধর করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে তাকে কেন ২ দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছিল? মারধরের করার পর কি ওই যুবক অপমানে সত্যিই আত্মঘাতী হয়েছে? নাকি তাঁকে ওই শো রুমের ভেতরে মারধর করে খুন করা হয়েছে? তা নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ রয়েছে। রহস্য উন্মোচনে তদন্ত শুরু করেছে নৈহাটি থানার পুলিস।