উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়াতে, সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে একটি ১৮ বছর বয়সী ছেলের মৃতদেহ গ্রামের কাছের জঙ্গলে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ঘটনাটি চকরনগর থানার জগতৈলী গ্রামের। বলা হচ্ছে, ছেলেটি রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছিল। আসলে বন্ধুর বিয়েতে যাওয়ার জন্য বাবার কাছে কিছু টাকা চেয়েছিল সে। বাবা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে তার দিদির বাড়িতে যাচ্ছি বলে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়।
কিন্তু গভীর রাত পর্যন্তও দিদির বাড়িতে না পৌঁছালে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকে। তিনদিন পর মঙ্গলবার গ্রামের পাশের জঙ্গলে বাবলা গাছের থেকে একটি দড়িতে ফাঁস লেগে ঝুলন্ত অবস্থায় ছেলেটির নিথর দেহ পাওয়া যায়। পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ এর প্রাথমিক অনুমান, ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে।
নিহত কিশোর ক্লাস ১১ এর ছাত্র
গ্রামীণ পুলিশ সুপার সতপাল সিং জানিয়েছেন, মৃতের নাম আকাশ এবং সে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। বন্ধুর বিয়েতে যাওয়ার জন্য আকাশের বাবা আকাশকে টাকা না দেওয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে এমনটাই প্রাথমিক সন্দেহ পুলিশের। বর্তমানে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাবা ছেলেকে বকাঝকা করেছিল:
অন্যদিকে মৃত আকাশের বাবা শিবকুমার জানান, বাড়ির কাজ না করায় ছেলেকে বকাঝকা করেন তিনি। তারপর বন্ধুর বিয়েতে যাওয়ার জন্য টাকা চাওয়া শুরু করে আকাশ। সেই কারণে তারপর তাকে আরও বকাঝকা করে আকাশের বাবা শিবকুমার। এরপরই রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় আকাশ। তিনি জানান ‘আমরা তাকে যখন দেখতে পাই তার মৃতদেহ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। ও রাগ করে এমন পদক্ষেপ নেবে তা বুঝতে পারিনি।’ ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।