Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

ভারতের এই মন্দিরে প্রবেশ করেন না কোনো জীবিত ব্যাক্তি! শুধুমাত্র মৃত্যুর পরেই দর্শন করা যায় বিশ্বাস!

ধর্ম যার যাই হোক না কেন প্রত্যেক ধর্মের উপাসকরাই নিজের নিজের ধর্মস্থানে যেতে ভালোবাসেন। আমাদের চারপাশে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান সব ধর্মাবলম্বীদের জন্যে আছে কত না জানি মন্দির, মসজিদ, গীর্জা। ভক্তদের আনাগোনা লেগেই থাকে সেখানে। কিন্তু এই ভারতের পাহাড়ঘেরা মনোরম এক জায়গায় আছে এমন একটা মন্দির যেই মন্দিরের চৌকাঠ পার হয় না কোনো মানুষ। মনে করেন এই মন্দিরে অধিষ্ঠিত দেবতার আশীর্বাদ নিলে যদি বেরিয়ে যায় প্রাণটা। তাই সচারাচর এই মন্দিরে ঢুকতে চান না বড় একটা কেউই। শুনে অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন মন্দিরে যাওয়ার সঙ্গে মৃত্যুর কী সম্পর্ক?

হ্যাঁ। কারন এই মন্দিরে অধিষ্ঠিত স্বয়ং যমরাজ।
দিল্লি থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হিমাচল প্রদেশের চম্বা জেলায় ভারমোর এলাকায় রয়েছে যমরাজের মন্দির৷ চম্বা জেলার ভারমোরে অবস্থিত এই প্রাচীন ‌মন্দিরটিতে ঢুকতে চাননা কোনো দর্শনার্থী। কেনোনা হিন্দু ধর্ম অনুসারে যমরাজ হলেন মৃত্যুর দেবতা। তাই এই অঞ্চলের মানুষজনের সুদৃঢ় বিশ্বাস, মৃত্যুর পর এই মন্দিরেই মৃত ব্যক্তির বিচার করেন যমরাজ। এই মন্দিরেই চলে তাদের সারা জীবনের পাপ পুণ্যের বিচার। ধর্মেশ্বর মহাদেব মন্দির নামে পরিচিত এই মন্দিরটি ভারতের অবস্থিত একমাত্র যমরাজের মন্দির। স্থানীয় লোকেদের বিশ্বাস, যেহেতু স্বয়ং যমরাজ এই মন্দিরেই বাস করেন তাই কোনো জীবিত ব্যাক্তি এই মন্দিরে ঢুকলে অনর্থ হবে।

Yamraj Mandir Nobody Wants To Go

মৃত্যুর কে এড়িয়ে চলতে চায় সকলেই। ঠিক এই কারণে কোনও মানুষকে এই মন্দিরে ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা যায় না। কারণ তাদের বিশ্বাস জীবন মৃত্যুর হিসাব করেন যে দেবতা তার আশীর্বাদ নিতে গেলে কিছু একটা ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই মন্দিরের দরজার বাইরে থেকেই প্রণাম সেরে চলে যান সকলে।

তবে শুধু যমরাজ নয়, এই মন্দিরের ভেতরে নাকি একটি আলাদা প্রকোষ্ঠে রয়েছেন চিত্রগুপ্তও। স্থানীয়দের বিশ্বাস ধর্মরাজের এই মন্দিরটি পাহারা দেয় দুটি চার চোখওয়ালা কুকুর, যারা খোদ যমরাজেরই পোষ্য। যমরাজের এই মন্দিরের ভেতরের প্রকোষ্ঠের চারপাশে রয়েছে চারটি অদৃশ্য সোনা, রুপো, তামা আর লোহায় তৈরি দরজা। কোনো মানুষের মৃত্যুর পর যমরাজ স্বয়ং করেন তার পাপ পুণ্যের বিচার। জীবিত অবস্থায় কর্মফল অনুযায়ী এই চারটি দরজার একটি দিয়ে মৃত ব্যাক্তির আত্মাকে স্বর্গ বা নরকে নিয়ে যায়। গরুড় পুরাণেও নাকি যমরাজের দরবারের চারপাশে এমনই চারটি সোনা, রুপো, তামা আর লোহায় তৈরি দরজার কথা উল্লেখ আছে।

স্বাভাবিক ভাবেই ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে এই মন্দিরটিকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে চালু আছে নানা ধারণা। তবে গঠনগত সৌন্দর্য এবং মনোরম পরিবেশের জন্যে এই মন্দিরটি ঘিরে বহু পর্যটকের কৌতূহল রয়েছে।

Related posts

মাত্র ১০০০ টাকা ইনভেস্ট করে পাবেন প্রতিমাসে মোটা টাকা আয়ের সুযোগ, কীভাবে?

News Desk

পরপর ২দিন লাখের নিচে নামলো দৈনিক করোনা সংক্রমন, হ্রাস পাচ্ছে মৃতের সংখ্যাও

News Desk

অঘোরে ঘুমিয়ে থাকা শিশুকে বিছানা থেকে তুলে মেঝেতে সপাটে আছাড়, মহিলার কাজে চাঞ্চল্য

News Desk