বাড়িতে রোগী দেখতে সন্ধান মিলল পৃথিবীর সম্ভাব্য ‘প্রবীণতম মানুষ’-এর! যার বয়সের ব্যাপারে জানতে পেরে হতবাক হয়ে যান চিকিৎসকরাও।
ওই মহিলার নাম মারিয়া গোমস ডস রিস। তিনি ব্রাজিলের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি খুবই অসুস্থ এবং বলা যায় বিছানায় শয্যাশায়ী। দেখতে চিকিৎসকদের একটি মোবাইল টিম তার বাড়িতে পৌঁছে ছিল। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় উঠে এলো একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। চিকিৎসকরা তার বয়স জানার জন্য জন্মের বিষয়ে খোঁজ করতে জানা গেলো ওই মহিলা পৃথিবীতে পার করেছে সুদীর্ঘ ১২১ বছর। আর এটা কারো মুখের কথা নয়। ওই মহিলার জন্মের নথি এই তথ্য জানাচ্ছে।
জন্মের শংসাপত্র অনুযায়ী ১৯০০ সালের ১৬ই জুন ব্রাজিলের বেলা ভিস্তার বম জেসস ডা লাপা নামক বেশ ছোটো একটি গ্রামে জন্ম নেন মারিয়া গোমস ডস রিস। সেই থেকে ওই গ্রামে বসবাস তার। জীবন কাটিয়েছেন সেই গ্রামেই।
মারিয়ার নিজের ছেলেমেয়েরা কেউ এখন আর বেঁচে নেই। এখন নিজের নাতনি সিলিয়া গোমসের সঙ্গেই বসবাস করে মারিয়া। মোট ১৩ জন নাতি-নাতনি এবং সেই নাতি-নাতনিদের আরও পাঁচ সন্তানকে নিয়ে মারিয়ার ভরপুর সংসার। সিলিয়া জানিয়েছেন, ‘‘আট বছর আগে অবধিও তাঁর দিদিমা বেশ শক্তিশালী ছিলেন। তবে এখন তিনি একেবারে শয্যাশায়ী।”
এখনও পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী, জাপানের ফুকুওকার বাসিন্দা কানে তানাকা নামক মহিলা ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ। তিনি এখন আর বেঁচে নেই। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ১১৯ বছর। তারপরে রেকর্ড অনুযায়ী ফ্রান্সের সিস্টার আন্দ্রে বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ। তার বয়স বর্তমানে ১১৮ বছর। কিন্তু এই মহিলার বয়স যদি প্রমাণ হয় তাহলে নিশ্চিত ভাবে ইনিই চলেছেন পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ। কিন্তু যতদিন না ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এর আওতায় আসবে বিষয়টি সেটি প্রমাণ সাপেক্ষ থেকেই যাচ্ছে। এদিকে রেকর্ডে মারিয়ার নাম নথিভুক্ত করতে গেলে তাঁর পরিবারকে চুকাতে হবে প্রায় ৮০০ পাউন্ড (ভারতীয় টাকায় যেটা দাড়ায় প্রায় ৭৬,৪৩৪ টাকা)। শুধু টাকাই নয়, এর সঙ্গে তাঁদের জমা দিতে হবে তাঁর জন্মের আইনি নথিপত্রও।