আগেও বেশ অনেকবার আমাদের পৃথিবী সন্মুখীন হয়েছিল ধ্বংস এর মুখোমুখি বলে খবর রটেছিল। কিন্তু প্রতিবারই দেখা গেছিল সেই খবর গুজব ছাড়া আর কিছু না। যেমনটা হয়েছিল ২০১২ সালে। মায়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার এক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল সকলের মধ্যে। যদিও শেষ অব্দি তেমন কিছু হয়নি। পৃথিবী সুরক্ষিতই আছে। আবার সব আশঙ্কা অমূলক হয় তা নয়। যেমন ১০০ বছর পর আবারও পৃথিবী পড়েছে মহামারীর গ্রাসে। এখনও পুরোপুরি এর থেকে মুক্ত হতে পারেনি মানুষ। এরই মধ্যে নতুন করে পৃথিবী ধ্বংসের আবারও এক আশঙ্কা মুলক খবর সকলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল। খবর অনুযায়ী এইবারের আশঙ্কা আগামী ২০২৪ কে ঘিরে। সেই বছরে পৃথিবী ধ্বংস হবার আশংকা মুলক তথ্য উঠে এসেছে নাসার বিজ্ঞানীদের গবেষণায়। জানুন বিষয়টা কি।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ২০২৪ সালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে কারন সু বিশাল আকৃতির এক বিশেষ ধরনের উল্কাপিণ্ড পৃথিবীর গতিপথ বরাবর ধেয়ে আসছে। এই উল্কাপিণ্ড যদি পৃথিবীর বুকে আছড়ে পরে তাহলে পৃথিবী ধ্বংসও হয়ে যেতে পারে। নাসার বিজ্ঞানীদের হিসাব নিকাশ বলছে এই সংঘর্ষ হতে পারে ২০২৪ সালে যদি না ওই উল্কাপিণ্ড নিজের অভিমুখ বদল করে।
প্রতি সেকেন্ডে ৫.২ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ওই উল্কাপিণ্ড। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় ওই উল্কাপিণ্ডের বেগ ১১,২০০ মাইল। ওই ভীষণ গতিতে ধেয়ে আসা উল্কাপিণ্ডটি যদি পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে, তবে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় দেখা দেবে পৃথিবীতে। ধ্বংসের মুখোমুখি গোটা পৃথিবী। সেই আশঙ্কার প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
উল্কাপিণ্ডটির সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা কতোটা?
নাসার বিজ্ঞানীরা ধেয়ে আসা ওই উল্কাপিণ্ডের নাম রেখেছেন রক ১৬৩৩৪৮। জানা গেছে উল্কাপিণ্ডটির দৈর্ঘ্য ২৫০ থেকে ৫৭০ মিটার। আর এটি প্রস্থে ১৩৫ মিটার। এটি কার্যত সূর্যের পাশ কাটিয়ে এগিয়ে আসছে পৃথিবীর কক্ষপথের দিকে। সেন্টার ফর আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজের গবেষনা অনুযায়ী, উল্কাপিণ্ডটির পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা মাত্র ৫ শতাংশ।
কোন কারণে সংঘর্ষ হলে কি হবে?
উল্কা খন্ডটির সাথে যদি পৃথিবীর সংঘর্ষ হয় পৃথিবীর পুরোপুরি ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। দেখা দিতে পারে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প। যার ফলে হবে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি এবং ভূমিকম্পের জেরে সুনামি হয়ে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পৃথিবীর একাংশ। উল্কাপিণ্ডের সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ ঘটা এড়িয়ে চলতে সঠিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব, সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তবে নাসার বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। উল্কা ও পৃথিবীর সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে খুবই সামান্যই।