১০ দিন আগে গুজরাটের সুরাটে একটি কাপড়ের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে গুদামের কর্মীই এই আগুন লাগানোর সূত্রপাত করেছেন। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে কর্মচারীরা কম বেতন পাচ্ছেন, যার কারণে গুদামে আগুন দিয়ে কারখানার মালিকের ৭৮ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
গত ২৭ই আগস্ট নগরীর শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত একটি কাপড়ের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে। মূল্যায়নে দেখা গেছে, আগুনে গুদামের মালিকের প্রায় ৭৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এরপর পুলিশ অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। গুদামে স্থাপিত সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে এক কর্মচারী গুদামে রাখা কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন। এর পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে, তখনই সামনে আসে এক অনন্য কাহিনি।
অভিযুক্ত কর্মচারী জানান, বেতন কম পাওয়ায় তিনি অসন্তুষ্ট। এ কারণে তিনি মালিককে লোকসান করানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং নীরবে বন্ধ গুদামে আগুন ধরিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা যাক যে সুরাত সমগ্র এশিয়ায় একটি টেক্সটাইল হাব হিসাবে স্বীকৃত। এখানকার টেক্সটাইল মার্কেটের কথা বললে, ১২ লাখের বেশি মানুষ এ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এবং এখানে দৈনিক তিন কোটি মিটার কাপড় তৈরি হয়। দেশ-বিদেশের বেশির ভাগ কাপড় যায় সুরাট থেকেই।
একটি সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাইহোক, সুরাটের বস্ত্র শিল্প এক বিশাল সংকটের মুখে পড়েছে। দীপাবলির আর মাত্র কিছু সময় বাকি, তবুও বস্ত্রবাজারে যে গতি থাকা উচিত ছিল তা সেভাবে উঠছে না।
সুরাটের টেক্সটাইল মার্কেট গত কয়েক মাস ধরে মন্দার সম্মুখীন। এমন পরিস্থিতিতে উৎসবের দিনগুলোতে আগামী দিনে বাজারে জমজমাট এমন প্রত্যাশা ছিল কাপড় ব্যবসায়ীদের। কিন্তু করোনার সময় পর্যন্ত দুই বছর ধরে এবং এখন ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে সুরাটের কাপড়ের বাজার খারাপ অবস্থায় দেখা যাচ্ছে।