সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসা ও বিশ্বাসের অবসান ঘটতে শুরু করলে যেকোনো প্রেমিক প্রেমিকা বা দম্পতির মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী স্ত্রী ও একে অপরকে সন্দেহ করতে শুরু করে। কোন সম্পর্কে সন্দেহ দেখা দিলে সেই সম্পর্ক নষ্ট হওয়া নিশ্চিত। অন্যদিকে প্রেমিক বা প্রেমিকার উপর সন্দেহ সত্যি প্রমাণিত হলে পায়ের তলায় মাটি সরে যায়। সম্প্রতি, ঠিক একই জিনিস এক মহিলার সাথে ঘটেছে (Woman’s trick to find cheater boyfriend) যখন তিনি সন্দেহ করেছিলেন যে তার প্রেমিক তার সাথে প্রতারণা করছে।
দ্য সান (The Sun) ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনজি কুরান (Kenzie Curran) নামের এক মহিলা সোশ্যাল মিডিয়া সাইট টিকটকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন যে কীভাবে তিনি তার অবিশ্বস্ত প্রেমিকের মিথ্যাটি ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন (Truth about cheater boyfriend) এবং এখন তিনি অন্যদেরও বলছেন সেই কৌশল অবলম্বন করতে। তার বক্তব্য সবার এই কৌশল শিখে নেওয়া উচিত যাতে তারা তাদের সঙ্গীর সত্যতা যাচাই করতে পারে।
মহিলা সত্য উদঘাটনের জন্য একটি চমৎকার পরিকল্পনা করেছিলেন:
তিনি বলেছিলেন যে তিনি এবং তার প্রেমিক গত ২ বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু তার সন্দেহ হতে থাকে যে সে তার সাথে প্রতারণা করছে। তাই একদিন রাতে যখন কেনজির বয়ফ্রেন্ড বাড়িতে ছিল, সে তাকে একটি ভিডিও কল করে। তারপর তিনি তার স্ন্যাপচ্যাট পাসওয়ার্ড চেয়েছিল। প্রেমিক সঙ্গে সঙ্গে একটি অজুহাত দেয় যে তিনি পাসওয়ার্ড জানেন না, পাসওয়ার্ড টা তার মনে নেই, সে ভুলে গেছে। তারপর কেনজি তার পরিকল্পনা মাফিক কাজ শুরু করে। তিনি প্রেমিক কে বলেন পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেও তার সাথে ভিডিও কলে কথা বলার সময়ই, তিনি তার স্ন্যাপচ্যাটটি খুলে রাখুন এবং নিজের মায়ের ফোন থেকে সেই ভিডিওটি রেকর্ড করুক এবং সেই ভিডিও রেকর্ডটি তাকে পাঠিয়ে দিক। কল কাটা যাবে না এই পুরো কাজটি করার সময়।
প্রেমিক তখনই জানান যে তার মা ঘুমিয়েছিলেন কারণ রাত যথেষ্ট হয়েছে। মহিলাটি এতে রাজি হন, কিন্তু তারপরে তিনি বলেছিলেন যে কল না কেটেই তাকে তার ফোনের স্ক্রীনের রেকর্ডার চালু করতে হবে এবং তারপরে ভিডিও কলে কথা বলার সময়, স্ন্যাপচ্যাট খুলতে হবে এবং মেসেজ বক্সও খুলতে হবে। তারপর স্ক্রিন রেকর্ডারে ভিডিওটি রেকর্ড করে সেভ করে তাকে পাঠাক। একথা শুনে প্রেমিক ভয় পেয়ে যায় এবং ভিডিও পাঠাতে অস্বীকার করে। এই নিয়ে কিছুক্ষন প্রশ্ন উত্তর চলার পর প্রেমিক নিজ মুখেই স্বীকার করল যে তার অন্য কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা যখন সত্য খুঁজে বের করার এই অদ্ভুত কৌশল সম্পর্কে জানতে পারেন, তখন তারা মহিলাটির অনেক প্রশংসা করেন। তারা বলেন, যদি কখনো তারাও এমন পরিস্থিতিতে পড়েন, তাহলে একইভাবে সঙ্গীর মিথ্যা ধরার চেষ্টা করবেন।