আজকালকার যুগে ডিজিটাল যুগ। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় দৌলতে অনলাইনে বন্ধুত্ব এবং প্রেম বেশ সাধারন বিষয়। করোনাকালে দমবন্ধ পরিবেশ, ঘরবন্দি হয়েই কাটছে বেশিরভাগ সময়, একাকীত্ব গ্রাস করছে অনেক কে। আর এই সমস্যার সমাধান যেন সোশ্যাল মিডিয়া। অনলাইনে মাধ্যমে পরিচয়, সেই থেকে বন্ধুত্ব বা ঘনিষ্ঠতা যেন এনে দিচ্ছে দমবন্ধ জীবনে মুক্তির বাতাস। কিন্তু এতে বাড়ছে বিপদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বের মুখোশের আড়ালে অনেক ক্ষেত্রে লুকিয়ে থাকছে মারাত্মক বিপদ ও। যেমন হল এই নাবালিকার সাথে।
জানা গিয়েছে ইন্দোরের ভানওয়ারকুয়ান থানা এলাকায় ২২ বছর বয়সী এক যুবক ইনস্টাগ্রামে একটি নাবালিকা মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব করেছিল। বন্ধুত্ব আরেকটু ঘনিষ্ঠ হলে সে মেয়েটির সাথে দেখা করতে চাই। আর মেয়েটিকে হোটেলে ডেকে তার অজান্তেই নেশাজাতীয় দ্রব্য মেশানোর পর তাকে কোল্ড ড্রিংক খাওয়ায়। অজ্ঞান হয়ে পড়ার পর মদ্যপান করে ধর্ষণ করা হয় নাবালিকার উপর। এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, ইন্দোরের ভানওয়ারকুয়ান থানা এলাকার একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে বিনায়ক গিদওয়ানি নামে এক যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। বেরাঠি কলোনিতে থাকতেন এই যুবক। যুবকটিকে যতটা সরল ও সহজ ভেবেছিল মেয়েটি, তার উদ্দেশ্য ছিল ততটাই বিপজ্জনক। অভিযুক্ত প্রথমে নাবালিকাকে ইন্সটাগ্রামে বন্ধুত্বের জালে জড়িয়ে নেয়, তারপর বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে তাকে ডেকে নেয় তার সঙ্গে দেখা করতে। ওই তরুণীকে একটি হোটেলে আসতে বলেন।সেখানে ওই তরুণীকে কোল্ড ড্রিংক পান করতে দেন ওই যুবক। তিনি কোল্ড ড্রিংকে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়েছিলেন। কোল্ড ড্রিংক পান করে অজ্ঞান হয়ে যায় মেয়েটি।
মদের নেশায় ধর্ষণ:
মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে গেলে মদ্যপান করে তাকে ধর্ষণ করে যুবক। পরে নাবালিকা এই যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানার উপ-পরিদর্শক ভানওয়ারকুয়ান মনীষা বলেন, পুলিশ ধর্ষণসহ পকসো আইনে মামলা দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত করছে।