দিল্লি থেকে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে একটি মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছিল এবং তার একটি অশ্লীল ভিডিও পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছিল। এরপর অভিযুক্ত সেই ভিডিও তার বাগদত্তাকে পাঠায়। যার কারণে মেয়েটির বিয়ে ভেঙে যায়। নির্যাতিতা পুলিশের কাছে তার অভিযোগে বলেছেন, অভিযুক্ত তাকে তার ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে কোল্ড ড্রিংকে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে তার অচেতনতার সুযোগে তাকে ধর্ষণ করে।
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ধর্ষণের ভিডিও তৈরির এই গুরুতর ঘটনা ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত। শুধু তাই নয়, মেয়েটিকে ধর্ষণের ভিডিও তার বাগদত্তার কাছে পাঠিয়েছে অভিযুক্ত। এই সমস্ত ঘটনার পর নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা দায়ের করে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে অভিযুক্তের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। এরপর তার সাথে দেখা করেছিলেন নির্যাতিতা। নির্যাতিতা তরুণী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সিংয়ের কাজ করেন। দুজনেই কথা বলতে শুরু করে এবং এরপরে অভিযুক্ত তাকে কোল্ড ড্রিঙ্কস এর সাথে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় এবং তার ভিডিওও করে। মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে ঠিক জানতে পেরে অভিযুক্ত ভিডিওটি তার বাগদত্তার কাছে পাঠায়।
ভুক্তভোগী তার অভিযোগে পুলিশকে জানায়, ২০১৮ সালে ইনস্টাগ্রামে সমীর ওরফে ইউসুফ নামে এক যুবকের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। যিনি দিল্লির বাসিন্দা। একদিন সে তাকে তার ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে কোল্ড ড্রিংকে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তার সাথে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়। শুধু তাই নয়, অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করতে থাকে।
এতে বিরক্ত হয়ে তিনি ওই যুবকের ফোন তোলা বন্ধ করে দেন। এ সময় তার বিয়ে ঠিক হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি জানতে পেরে কোথাও থেকে নির্যাতিতার বাগদত্তার নম্বর নিয়ে তার কাছে তার অশ্লীল ভিডিও পাঠায়। যার জেরে বিয়ে ভেঙে যায়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি করছে।