মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে ঝাড়খণ্ডের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। কিছুতেই যেন রাঁচি এবং এর আশেপাশের গ্রামাঞ্চলে মেয়েদের শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের ঘটনা থামছে না। গত ১৭ই জানুয়ারি, তিনজন তরুণী চানাহো থানা এলাকায় মর্নিং ওয়াক করতে বেরিয়েছিল। তাদের মধ্যে একজনকে গাড়িতে টেনে নিয়ে গণধর্ষণের মত ঘৃণ্য ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার পর রাজ্যের রাজনীতি এখনো উত্তপ্ত। এরমধ্যে আবার এক লজ্জাজনক ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে এক প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনা এখন শিরোনামে।
পান্দারা থানা এলাকায় বসবাসকারী এক প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে ধর্ষণের লজ্জাজনক ঘটনা সামনে এসেছে। বলা হচ্ছে, এক মহিলা যার নাম সুনীতা, নাবালিকাকে প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁসিয়ে খালারি এলাকায় নিয়ে যান। যেখানে তাকে বলেশ্বর নামে এক ব্যক্তি ধর্ষণ করে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ধর্ষণে অভিযুক্ত বলেশ্বর ও ধর্ষণে সহায়ক মহিলা দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে।
নির্যাতিতার স্বজনরা জানান, তাদের নাবালিকা মেয়ে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। তাই পুরো পরিবারের ভীষণ দুশ্চিন্তা ছিল কেননা তাদের মেয়ে প্রতিবন্ধী। তারা থানায় মেয়ের নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। এরমধ্যে নাবালিকা ফিরে আসে। বাড়িতে পৌঁছে নাবালিকার তার সাথে কি হয়েছে পুরো বিষয়টি জানালে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। সঙ্গে সঙ্গে নাবালিকাকে থানায় নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। নাবালিকা পুলিশের কাছে বিষয়টি জানায়। নাবালিকা পুলিশকে আরও জানিয়েছে যে সুনীতার সঙ্গে অন্য আরো একজন মহিলাও উপস্থিত ছিলেন। যাকে সে চিনতে পারেনি।
এরপর পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্ত খলাড়ি এলাকায় লুকিয়ে আছে বলে খবর পায়। গভীর রাতে পুলিশ তাকে আটক করে। একই সঙ্গে সুনিতাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। নিহতের পরিবার দাবী, অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিত।