স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রত্যেক ভারতবাসী খুব আনন্দে কাটায়। আর এক অঘটন ঘটে গেলো স্বাধীনতা দিবসের সকালের দিকেই। পরিবারে দাম্পত্য কলহে জেরবার হয়ে গিয়েছিলেন এক মহিলা, আর তাই স্বাধীনতার সন্ধানে নিজের দুই সন্তানকে সাথে নিয়ে বেরিয়েছিলেন বাড়ি থেকে। ঠিক তারপরই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিলেন ওই মহিলা তার দুই সন্তানকে নিয়ে। স্বামীর প্রচন্ড অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতেই ওই মহিলা দুই সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর। পানাগড় স্টেশন সংলগ্ন ১০২ নম্বর রেল সংলগ্ন অনুরাগপুরের কাছে রেল লাইনের উপর ঘটনাটি ঘটেছে।
কয়েক বছর আগে বছর তিরিশের সীমা পণ্ডিতের বিয়ে হয় । দুটি সন্তান রয়েছে তার । বুদবুদ থানার ধরলা মোড়ে থাকতেন গৃহবধূ বছর আটেকের প্রীতম এবং তার থেকে দু’বছরের ছোট প্রেমকে নিয়ে। প্রতিদিনই মধ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফিরত সীমা পন্ডিতের স্বামী। অভিযোগ যে তার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করত তার স্বামী। রবিবার সন্ধ্যেবেলা আবারো বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় এসে সীমা দেবীকে মারধর শুরু করেন। স্বামীর এই অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতেই সেদিন রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সীমা দেবী । তার দুই সন্তান তার সাথেই ছিল।
সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন সীমা দেবী । নাম্বার দিন ভোরবেলা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ।রেল পুলিশ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় । ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় এবং তদন্তের পর প্রাথমিক অনুমান এই যে তারা আত্মহত্যা করেছেন । যদিও তদন্তকারীরা এখনো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পায়নি, হাতে না পাওয়া অব্দি আসতে পারছেন না তারা । চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন ওই মহিলা তা তারা যাচাই করে দেখতে চাইছেন ।
ওই মহিলার স্বামীর সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করেছেন । যদিও নিজেদের মধ্যে অশান্তির কথা অস্বীকার করে গিয়েছেন তার স্বামী । কিন্তু তার স্বামী পাল্টা দাবি করেছেন যে তাদের মধ্যে অশান্তি হতো ঠিকই কিন্তু কখনো এমন পর্যায়ে যাইনি। তিনি কখনো গায়ে হাত তোলেন নি সীমা দেবীর।