রোজ রোজ মিলত লাঞ্ছনা-গঞ্জনা। নিত্যই অত্যাচার চালাত বৌমা। লাগাতার অত্যাচার মেনে না নিতে পারে অপমানে আত্মঘাতী হলেন বৃদ্ধা। অত্যাচারের অভিযোগ বৌমার বিরুদ্ধে। বৃদ্ধের আত্মঘাতী হওয়ার এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে (Halisahar)। এই আত্মহত্যার ঘটনায় মৃতা বৃদ্ধের বউমার বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।
সূত্র অনুযায়ী উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের বাস করতেন প্রৌঢ়া কৃষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাথেই বাস করতেন ছেলে কার্তিক ও পুত্রবধূ নম্রতা। অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে শাশুড়ি কৃষ্ণাদেবীর উপর অমানুষিক অত্যাচার চালাত তাঁর পুত্রবধূ নম্রতা। লাঞ্ছনা-গঞ্জনা তো ছিলই সাথে সাথে প্রহারও করতেন বৃদ্ধাকে। ঠিকমতন খেতে দিতেন না। এত কিছু সয়ে মুখ বুজে থাকতেন ছেলের সংসারে। কিন্তু বৃদ্ধা মুখ বুজে থাকলেও অত্যাচার কমেনি উল্টে ক্রমশই বাড়ছিল। অবশেষে সইতে না পেরে সোমবার দুপুরে হঠাৎই গায়ে আগুন দেন কৃষ্ণাদেবী।
অগ্নিদগ্ধ বৃদ্ধার আর্ত চিৎকার কানে যেতেই ছুটে যান স্থানীয়রা। ভয়ঙ্কর দগ্ধ অবস্থায় কোনও মতে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছয় বীজপুর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত পুত্রবধূ নম্রতাকে আটক করেছে পুলিশ। কৃষ্ণাদেবীর মেয়ে তাঁর বউদির বিরুদ্ধে থানায় আত্মহত্যার নেপথ্যের কারণ হিসাবে লিখিত অভিযোগ করেছে থানায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান বাড়ির অশান্তি অত্যাচারের কারনেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষ্ণাদেবী।
অভিযুক্ত নম্রতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কঠিন শাস্তির দাবি জানান কৃষ্ণাদেবীর প্রতিবেশীরাও। নম্রতা দেবীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে নম্রতা ও তার স্বামী অর্থাৎ বৃদ্ধার ছেলের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।