উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর থেকে জোড়া খুনের এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে এক ব্যক্তি তার ছেলেদের নিয়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিক কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এবং এই মামলার তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্তরা সবাই পলাতক বলে জানা গেছে, পুলিশ তাদের খুঁজছে।
ঘটনাটি জালালাবাদ থানার ডাহার গ্রামের। এখানে বসবাসকারী ওম পালের স্ত্রী মমতার সাথে গ্রামেরই রমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং সে তার চার ছেলেকে স্বামীর বাড়িতেই ফেলে রেখে ১০ বছর আগে তার প্রেমিক রমনপাল সিংয়ের সাথে পালিয়ে যায়। ওমপাল দুজনকেই অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও কোনো হদিশ পায়নি। এরপরে ঘটনার অনেক দিন কেটেও যায়। যার পর প্রায় হাল ছেড়েই দেয় মহিলার স্বামী।
অনেক বছর কেটে যায়। ছেলেরাও বড় হয়ে যায়। এরপর জানা যায় যে, হরিয়ানার পানিপতে প্রেমিকের সঙ্গে কাজ করছিলেন মমতা। কিন্তু লকডাউনের পর ওই নারী ও তার প্রেমিক আবারও গ্রামে থাকতে শুরু করেন। এ খবর কানে আসে তার স্বামীর। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় গৃহবধূর প্রেমিক রমন পাল তার খামারে যাচ্ছিলেন। এইসময় ওমপাল ও তার সঙ্গী ছেলেরা তাকে ঘিরে ধরে হত্যা করে। এ সময় মমতাকেও তার প্রাক্তন স্বামী হত্যা করে। এ ঘটনা ঘটিয়ে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়।
জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই বিষয়ে এসপি এস আনন্দ বলেছেন যে ডাহারগাঁওয়ের বাসিন্দা ওমপালের স্ত্রী মমতা গ্রামেরই এক যুবক রমনের সাথে পলাতক ছিল। এরপর তারা ফিরে এলে বিষয়টি ওই নারীর প্রাক্তন স্বামী ও তার ছেলেদের কানে যায়, যার কারণে তারা দুজনকেই হত্যা করে। ইটিহাটন গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ অভিযুক্তদের খুঁজছে।