উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর জেলার বিন্দকির এক তরুণী ফেসবুকে হরিয়ানার এক যুবকের প্রেমে পড়ে। প্রেমলাপ চলতে চলতে সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে মেয়েটি ছেলটিকে বিন্দকি ডেকে পাঠায় বিয়ে করতে। এবং সুযোগ বুঝে মেয়েটি নানান অজুহাতে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রতারিত যুবক বিন্দকি থানায় পৌঁছে পুলিশের কাছে বিচারের আবেদন জানিয়েছেন। থানার ইনচার্জ রবীন্দ্র শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, মেয়েটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার বন্ধুসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট নথিভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তথ্য অনুযায়ী, ফতেপুরের বিন্দকি কোতোয়ালি এলাকার বাসিন্দা এক তরুণী হরিয়ানার কর্নাল জেলার সিটি থানা এলাকার জুনদলা গেট এলাকার বাসিন্দা প্রমোদের প্রেমে পড়ে। তবে এই প্রেমকাহিনী ছিল ডিজিটাল মাধ্যমে। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর ওই তরুণীর কথা মতন বিয়ে করতে হরিয়ানা থেকে বিন্দকির গান্ধী নগরে পৌঁছান ওই যুবক। বরের সাথে তার কাকা পালারাম, মাসী প্রেমা দেবী, মা কমলেশ, বোন ইনু ছিলেন। সেখানে কনের পক্ষও এসেছিলেন। দুজনেই একে অপরকে মালা পরিয়ে বিয়ে করেন। একে অপরের মুখও মিষ্টি করে দেন। হোটেল থেকে আসার পথে নববধূ জানান, তাকে কাপড় পাল্টে শাহবাজপুর বিন্দকির বাড়িতে মন্দিরে মাথা ঠেকাতে হবে। তার মানত আছে।
একই অজুহাতে বরের কাছ থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার টাকার নতুন জামাকাপড় ও দেড় লাখ টাকার গয়না নিয়ে সে চলে যায়। বর সন্ধ্যা পর্যন্ত কনের জন্য অপেক্ষা করলেও সে না আসায় বর কনের বন্ধু ও তার মামাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। থানার ইনচার্জ রবীন্দ্র শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, মেয়েটির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার বন্ধুসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট নথিভুক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।