বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে অনেকেই নানা অপরাধ ঘটায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমানে ফাঁদ পাতছে বহু প্রতারক। কথার জালে জড়িয়ে তারপরে আসল রূপ ধরে তারা। টেকনোলজি সাহায্যে ইন্টারনেটে ভুয়ো মুখোশে নিজেদের আসল পরিচয় লুকিয়ে রাখেন তারা। আর এই ভাবেই না জেনে বুঝে তাদের পাতা ফাঁদে পা দেয় অনেকে। আবারও এমন ঘটনা ঘটলো শহরের বুকে। অনলাইন আলাপ। তারপর চাকরি দেওয়ার নাম করে ইন্টারভিউয়ের অছিলায় এক তরুণীকে ডেকে তাকে শ্লীলতাহানি করা হলো। শুধু তাই নয় ছিনিয়ে নেওয়া হলো সঙ্গে থাকা টাকা ও শরীরের থাকা কিছু গয়না। উপায় না পেয়ে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওই তরুণী। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। এই ঘটনার সাথে সম্পর্কিত এক যুবককে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি এরকমই ঘটনা ঘটেছিলো মধ্য কলকাতার বড়বাজারে। এই ঘটনায় ধৃত যুবকের নাম হল শারিক আহমেদ। অভিযোগ, বিভিন্ন তরুণী ও মহিলাদের সঙ্গে আলাপ জমাতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই যুবক। ফাঁদ তৈরী করতো বিভিন্ন মেয়ে ও মহিলাদের সাথে গল্প জমিয়ে। আর এরকমভাবেই শারিকের উত্তর কলকাতার ওই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়। আরও ভাল চাকরির অপেক্ষায় ছিলেন নিউটাউনে কর্মরত ওই তরুণী।
শারিককে নিজের ইচ্ছের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান তরুণী। আর একথা জানার পরই বড়বাজার এলাকার একটি হোটেলে শারিক ওই তরুণীকে ডেকে পাঠায়। অভিযোগ, তরুণীকে একা পেয়ে হোটেলের ফাঁকা ঘরে তাঁর শ্লীলতাহানি করে সে। এমনকী, যুবতীকে খুব ভয় দেখিয়ে টাকা, গয়না ও মোবাইলও কেড়ে নেয় তাঁর কাছ থেকে।
তরুণী জানান, তিনি কোনওমতে হোটেল থেকে বেরিয়ে আসেন ঘটনার পর। তিনি বড়বাজার থানায় পরের দিনই অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ হোটেলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে যুবতীর অভিযোগ পেয়ে। তদন্ত শুরু হয় সিসিটিভির (CCTV) ফুটেজ ও মোবাইলের সূত্র ধরে। অভিযুক্তর ঠিকানা সম্পর্কে ধীরে ধীরে পুলিশ নিশ্চিত হয়। পুলিশ হানা দেয় ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূমের পাটনা কলোনিতে। শারিক আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তরুণীর মোবাইলটি তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তরুণীর গয়না ও টাকা ধৃতকে জেরা করে উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।