বরযাত্রী সমেত শোভাযাত্রা করে এসেছিলেন বিয়ে করতে। নিজের বিয়ের খুশিতে উদযাপন করতে এতটাই উন্মত্ত ছিলেন যে কোথা দিয়ে যে বিয়ের সময় পার হয়ে যাচ্ছে সেই খেয়ালই নেই। এদিকে বহুক্ষণ অপেক্ষা করার পর কনে যখন দেখলো বরের কোনো পাত্তাই নেই নিয়ে নিল এক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত। হবু বর কে ছেড়ে অন্যের গলায় মালা দিয়ে দিলেন তিনি। বরের অপেক্ষা করতে করতে ধৈর্য হারিয়ে তাঁকে ছাড়াই বিয়ে সেরে ফেললেন তিনি। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজস্থানের চুরু জেলায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয়েছিল অশান্তি। যার জের পৌঁছয় থানা পুলিশ পর্যন্ত। তারপর কি হলো? পড়ুন বিস্তারিত।
রবিবার চুরুর চেলনা গ্রামে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সুনীল নামক এক যুবকের। বিয়ের লগ্ন ঠিক হয়েছিল রাত সওয়া ১টায়। সুনীল বিয়ে করতে বরযাত্রী-সহ ধুমধাম পূর্ন শোভাযাত্রা করে রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে দেন। ডিজে মিউজিকের তালে তালে নাচতে নাচতে এগোচ্ছিলেন বরযাত্রীরা। সূত্র অনুযায়ী এই সময় বন্ধুদের সাথে কিছুটা মদ্যপান করে ফেলেন সুনীল। তারপরে ব্যান্ডপার্টি, ডিজে মিউজিক এর সাথে নাচতে নাচতে নিজের বিয়েতে পৌঁছানোর লগ্ন কটায় সে খেয়াল হারিয়ে ফেলেন। মত্ত হয়ে শোভাযাত্রায় বন্ধুদের সাথে নাচতে থাকেন তিনি। এদিকে বিয়ের মন্ডপে অপেক্ষা করছিলেন কনে। কিন্তু বর পৌঁছনোর নামগন্ধ করছিল না। এইভাবে কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও বর না আসায় তিতি বিরক্ত হয়ে সুনীলের বদলে অন্য যুবকের গলায় মালা পরিয়ে দেন কনে।
অবশেষে বরযাত্রী পৌছলে এমন ঘটনা ঘটতে দেখে রেগে যান তারা। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বিবাদ। থানা-পুলিশ অব্দি পৌঁছয় এর জের। বরপক্ষ কনে পক্ষের বিরুদ্ধে নালিশ করতে চান। কিন্তু কনেপক্ষ যখন বলে যে তারাই সময়ে পৌঁছায়নি এমন মানুষদের তারা দায়িত্বজ্ঞানহীন ছাড়া কি বলবেন তখন আর অভিযোগ না করে নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটমাট করেন তারা।