বিয়ের ঠিক আগে তাদের সব চেয়ে কাছের বন্ধুদের সাথে মজা, পিকনিক করতে কে না চায়। এই হবু কনে একই চিন্তাভাবনা থেকে নিজের ব্যাচেলর পার্টি উদযাপনের প্ল্যান করেছিল। নিজের সব বন্ধুদের আমন্ত্রণ করে, ফ্লাইট ধরে ব্যাচেলর পার্টির জন্য সে রওনা দিয়ে দেয়। কিন্তু সেই পার্টিতে যাওয়ার পথে যেমন একটা অভিজ্ঞতা সাক্ষী থাকতে হবে তা তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি। অদ্ভুত ঘটনা এই পার্টি কে হবু কনের জন্য একটি খারাপ স্মৃতিতে পরিণত করে।
কনে হ্যারিস গুজ তার পার্টি উদযাপন করতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহর ইউটাতে গিয়েছিলেন। পরিকল্পনা ছিল বন্ধুদের সাথে অনেক মজা করার। কিন্তু সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায় যখন সে প্রায় ৪৫ মিনিট সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের টয়লেটে আটকে থাকে। বিমানের টয়লেটের দরজা জ্যাম হয়ে যাওয়ায় এই বিপত্তি। এমনকি অবতরণের সময়ও ওই তরুণী টয়লেটেই ছিল। হ্যারিস সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টিকটকে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। যার কারণে সবার সামনে তার এই অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে এলো।
হ্যারিস তার বন্ধুদের সাথে সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সে ভ্রমণ করছিলেন। সবাই মজা করার মেজাজে ছিল। হ্যারিস এর ভেতরে একবার টয়লেটে যেতে হয়েছিল। কিন্তু ভিতরে থেকে দরজা বন্ধ করার সাথে সাথে এটি এমনভাবে লক হয়ে যায় যে যে ফ্লাইট অবতরণের পরেই এটি খোলা সম্ভবপর এমন অবস্থা তৈরি হয়। এই সময় তিনি খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন এবং তার ভীষণ দুশ্চিন্তা হচ্ছিল। সে নার্ভাসও হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু দরজা এতটাই জ্যাম হয়ে যায় যে অনেক চেষ্টা করেও কিছু করতে পারা যায় না। এখন বাইরের করো সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া তার কাছে কোনো উপায় ছিল না
বের হওয়ার পর হ্যারিস জানান, ওই সময় তিনি কতটা অসহায় বোধ করেছিলেন। চেষ্টা করেও নিজের জন্য কিছুই করতে পারেনি। সাহায্যের অপেক্ষায় প্রায় ৪৫ মিনিট কেটে যায়। তখন একটি ঘোষণা শোনা গেল। যেটি সম্ভবত জরুরি অবতরণের জন্য ছিল। কারণ সে টয়লেটে আটকে গিয়েছিল। ইতিমধ্যে, হ্যারিস টয়লেটের ভিতরে তার ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন। দ্য মিরর-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টয়লেটে আটকে থাকার ৪৫ মিনিট পর, বিমান সংস্থার কর্মীরা একটি লিভার ব্যবহার করে দরজাটি কোনওভাবে খুলে দেন, তারপরে তিনি বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। কিন্তু হ্যারিসের অভিযোগ, এতক্ষন বাথরুমে লক থাকার অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়ার পরও তাকে এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।