উত্তরপ্রদেশের বান্দায় এক গৃহবধুর রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে যে নিজের দাম্পত্য জীবনে যথেষ্ট বিরক্ত ছিলেন ওই মহিলা। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের করা ক্রমাগত হয়রানিতে ক্লান্ত হয়ে ওই এলাকার নবাব ট্যাঙ্কে (পুকুর) ঝাঁপ দেন ওই নারী। ঘাটে পাওয়া মহিলার কাপড় ও ছেড়ে যাওয়া একটি চিরকুট থেকে ঘটনাটি জানতে পারে পরিবার ও পুলিশ। ডুবুরিদের সহায়তায় ওই নারীকে খোঁজা হচ্ছে, তবে এখনও পর্যন্ত তাঁকে মৃত বা জীবিত খুজেঁ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নগরীর আটরা চুঙ্গী চৌকি এলাকার।
এক্ষেত্রে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন বধূর পরিবারের সদস্যরা। মহিলার আত্মীয় উমেশ বলেন, মহিলার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই তাকে মারধর ও নির্যাতন করত। প্রতিদিনই সমাধান করতে মিটিং হতো। শনিবার রাত ১০টায় আমি তার সঙ্গে কথা বলি, পরে সে তার মোবাইলও ভেঙে দেয়। সকালে আমরা জানতে পারি সে নবাব ট্যাঙ্কে চলে গেছে। তারপর আমরা সবাই সেখানে পৌঁছে দেখি সেখানে একটি আত্মঘাতী নোট ও তার জামাকাপড় পড়ে আছে।” উমেশ জানান, মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে খাবার খেতে দিত না। দাসী বানিয়ে রাখতে চাইতো। এতে ক্লান্ত হয়ে এমন পদক্ষেপ নিলেন ওই মহিলা।
ডেপুটি এসপি রাকেশ কুমার সিংয়ের মতে, সুইসাইড নোটে ওই মহিলা খুনের জন্য তার স্বামীকে দায়ী করেছেন। তাতে লেখা ছিল, “আমি নবাবের ট্যাঙ্কে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করছি। আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্বামী দায়ী। বর্তমানে ডুবুরিদের সহায়তায় মহিলার সন্ধান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ জানান, এখনও পর্যন্ত ওই মহিলার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তল্লাশি অভিযান চলছে। কোনো ক্লু পেলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।