কখনও কখনও কিছু মানুষকে অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় শুধুমাত্র তার ব্যবহার্য জিনিসের জন্য। যার কথা বলতে যাচ্ছি তিনিই । শখের বসে কিনে ফেলেছিলেন স্কুটি। এখন সেই স্কুটিই তার এবং তার পরিবারের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কুটির কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ নয়। কিন্তু যে কারণে ওই তরুণী ও তাঁর পরিবারের এমন নাকানি চোবানি অবস্থা তা জানলে আপনিও অবাক হবেন।
সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমে এক প্রতিবেদন বেরিয়েছে যেখানে বলা হচ্ছে, দিল্লির এক তরুণীকে তাঁর বাবা শখ করে স্কুটি কিনে দিয়েছিলেন কলেজে যাওয়ার জন্য। সব ঠিক ছিল এ পর্যন্ত। কিন্তু এক মুহূর্তেই সমস্ত খুশি যেন উবে গিয়েছিল স্কুটির নম্বরপ্লেট আসতেই। তরুণী স্কুটির যে নম্বরপ্লেট পেয়েছেন, তাতে যে ইংরাজি হরফ থাকে সংখ্যার সঙ্গে তা অদ্ভুত ভাবে এসেছে, এসইএক্স (সেক্স)। সমস্যা তৈরি হয় এই নম্বরপ্লেট গাড়িতে লাগাতেই। আশপাশের লোকজনও নাকি কটাক্ষ করতে শুরু করে দেন এমন একটি শব্দ স্কুটিতে লেখা দেখে বলে অভিযোগ।
কলেজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন যে স্কুটি নিয়ে, এখন তাঁদের যেন স্বস্তি সেই স্কুটিকেই ঘরবন্দি করে রাখতে পারলে। গাড়ির নম্বরপ্লেট বদলানোর জন্য আরটিও দফতরে আর্জি জানান তরুণী ও তাঁর পরিবার। কিন্তু সেখান থেকে, এটা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। দিল্লি পরিবহণ দফতরের কমিশনার কে কে দাহিয়ার দাবি, এখনও পর্যন্ত নেই গাড়ির নম্বর এক বার বেরিয়ে গেল তা বদলানোর কোনও আইন।
ফলেএখন সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দিল্লির তরুণীর ওই ‘এসইএক্স’ নম্বরপ্লেটই । নতুন গাড়ি কিনেও তা ঘরবন্দি করে রাখতে হচ্ছে তাঁকে।