প্রায় বছর ২৫ এর দাম্পত্য জীবন দুজনার । কিন্তু এই দীর্ঘ দিনের বৈবাহিক সম্পর্কের পরও নিজের প্রেমিকের কাছে ফিরতে চান এবং সে কারণে নিজের স্বামীকে হত্যা করতে চান তিনি। কারণ তার মতে স্বামী বেঁচে থাকতে প্রেমিকের সাথে তিনি থাকতে পারবেন না। আর তাই বছর চল্লিশের মহিলা এবং তার প্রেমিক পরিকল্পনামাফিক সুপারি কিলার দিয়ে ওই মহিলার স্বামীকে হত্যা করতে চেয়েছেন । আর এই পরিকল্পনামাফিক ওই মহিলার স্বামীকে দিল্লিতে গত ১৭ই মে হত্যা করা হয় ।
পুলিশ সূত্রে খবর , মৃত ব্যক্তির নাম মইনুদ্দিন কুরেশি। একটি কারখানার মালিক তিনি । গত 17 ই মে রাত দশটার দিকে মইনুদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করা হয় । মঈনুদ্দিনের ভাই রুকনুদ্দিন পুলিশের কাছে তার ভাইয়ের খুনের অভিযোগ জানায়। পুলিশ এই ব্যাপারে তদন্ত করতে গিয়ে একের পর এক অবাক করে দেওয়া তথ্য উদ্ধার করছে । প্রায় পাঁচশোর বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে বলে দাবি পুলিশের । সেই সিসিটিভি ফুটেজের ওপর ভিত্তি করেই ওই ভিডিওগুলি তে দেখতে পাওয়া মানুষদের জেরা করে তিন জনকে এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ঘটনায় অভিযুক্ত ওই মহিলা নিজের বিরুদ্ধে হওয়া সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নেন পুলিশের কাছে ।
শ্বেতা চৌহান ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ জানিয়েছেন, জিবা কুরেশি অভিযুক্ত মহিলাটির নাম। বছর ২৯ এর শোয়েবের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় তার এবং শোয়েবের সাথেই পরিকল্পনা করে নিজের স্বামীকে হত্যা করে জিবা। পুলিশি জেরার মুখে পড়ে জিবা আরো জানিয়েছেন যে , তিনি নাবালিকা থাকা অবস্থায় বছর ২৫ আগে তার বিয়ে হয় মইনুদ্দিন এর সাথ। তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতিদিনের মদ্যপান করার অভিযোগ এনেছেন । মদের নেশা আর সারাদিন ঘুড়ি ওড়ানো ছাড়া আর কোন কাজ ছিল না মঈনুদ্দিনের। এই অবস্থায় একেবারে বিরক্ত হয়েই এই সম্পর্ক থেকে মুক্তি চেয়ে ছিলেন জিবা। তারই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এই খুনের পরিকল্পনা তিনি করেছিলেন।