বিবাহিত জীবন মাত্র এক বছরের। বিয়ে হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করছে শশুড়বাড়ির সকলে, এমনটাই অভিযোগ। এমনকি রীতিমত জোর করা হত সন্তান না নেওয়ার জন্য। তারা এমনটাও বলেছিলো যে , ” ওই সংসারে থাকতে হলে কোনও ভাবেই সন্তান নেওয়া চলবে না”। যদিও তারপরও যখন ওই মহিলা গর্ভবতী হন তখন মর্মান্তিক পরিণতি হল তার। তার স্বামী পা দিয়ে লাথি মেরে ওই গর্ভবতী মহিলার সন্তান নস্ট করেছে এমনটাই অভিযোগ।এই পরিণতি হওয়ার পরই ওই মহিলা তার স্বামী ও শশুড়বাড়ির বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।
হুগলির বলাগর থানা এলাকার আইদা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ওই নির্যাতিতা মহিলা জী ২৪ ঘন্টায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী। বছর খানেক আগেই তার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক হয় পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার ধর্মডাঙা এলাকার এক ব্যক্তির। বিয়ের পর অর্থাৎ শুরুর দিকে সব ঠিক ছিল মাস খানেক যেতেই শুরু হয় দৈনিক অত্যাচার এমনটাই অভিযোগ ওই মহিলার। তাদের অদ্ভুত দাবী যে সন্তান নেওয়া যাবে না যদি তার স্বামীর সাথে সংসার করতে হয়। তার উপর প্রচন্ড পরিমানে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন হতে থাকে। তারমধ্যে মাস ছয়েকের মধ্যেই ওই মহিলার গর্ভে সন্তান আসে। ওই মহিলার শ্বশুড়বাড়ির সকলেই তার উপর চাপ দিতে থাকে সন্তান নস্ট করার জন্য এমনটাই অভিযোগ মহিলার। ওই মহিলা এর বিরোধিতা করলে শুরু হয় অত্যাচার। এতটাই নৃশংস হয়ে ওঠে এই অত্যাচার যে শেষে উপায় না পেয়ে ওই মহিলার পেটে লাথি মেরেই সন্তান নস্ট করে দেওয়া হয়।
তীব্র যন্ত্রনা শুরু হয় মহিলার পেটে । প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। সাথে সাথেই ওই অবস্থায় মহিলাকে নিয়ে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে অভিযুক্ত স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারপরই পালিয়ে যায় তারা এমনটাই অভিযোগ। এই খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ওই মহিলার বাপের বাড়ির সকলে চলে আসে হাসপাতালে। কালনা থানায় স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা কালনা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই। এরপরই ওই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালায় পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের কালনার ধর্মডাঙা এলাকায় গোটা ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা।