কিছুদিন আগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়ে শিরোনামে এসেছিলেন এই মহিলা। কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস যে একটি সন্তানও বাঁচলো না তার। বিয়ের সাত বছর পর প্রথমবারের মতো মা হওয়া রেশমার পাঁচ সন্তানই মারা গেছে। সোমবার সকালে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন রেশমা। রেশমার প্রি-ম্যাচিউর ডেলিভারি হয়েছিল। এই শিশুরা সাত মাসে অকালে জন্ম নেয়। তাই শারিরীকভাবে পাঁচ শিশু খুবই দুর্বল ছিল। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জয়পুরে রেফার করা হয়েছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাদের কেউই বাঁচেনি। এর মধ্যে জয়পুরে স্থানান্তরিত করার সময় করৌলিতে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। চতুর্থটি জয়পুরে পৌঁছানোর আগেই মারা যায়। একই সময়ে, জয়পুরে পৌঁছানোর পর পঞ্চম সন্তানটিও মারা যায়।
বিয়ের সাত বছর পর অনেক কষ্টে মা হওয়া রেশমার কোল আবার শূন্য হয়ে পড়েছে। করৌলির মাসলপুরের পিপরানি গ্রামের বাসিন্দা রেশমা করৌলির একটি বেসরকারি হাসপাতালে সোমবার পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন। তাদের মধ্যে দুই ছেলে ও তিন মেয়ে ছিল। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সন্তান হওয়ায় রেশমার পরিবারে আনন্দের পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু তার এই মাতৃসুখ মাত্র কয়েক ঘন্টা স্থায়ী হয়েছিল। নবজাতক শিশুদের দুর্বল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য জয়পুরে রেফার করা হয়।
পাঁচ শিশুর ওজন ছিল ৩০০ থেকে ৬৬০ গ্রাম। নবজাতক শিশুদের দুর্বল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, তাদের প্রথমে করাউলির মাতৃ শিশু ইউনিটে অবস্থিত এসএনসিইউ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। কম ওজনের কারণে নবজাতক শিশুগুলির বেঁচে থাকা বেশ কঠিন ছিল। তাই তাদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে জয়পুরে রেফার করা হয়। কিন্তু শিশুরা কেউ বেঁচে নেই।
পরিবারের সুখ শোকে বদলে গেল:
এই ঘটনায় বিয়ের সাত বছর পর কয়েক ঘণ্টার জন্য মাতৃত্বের আনন্দ নেওয়া রেশমার কোল আবারও জনশূন্য হয়ে পড়েছে। তার ওপর নেমে এসেছে দুঃখের পাহাড়। নবজাতক শিশুগুলির মৃত্যুর পর রেশমার পরিবারে গতকাল পর্যন্ত যে উৎসব পালিত হচ্ছিল তা শোকে পরিণত হয়েছে। রেশমার স্বামী আশক আলি কেরালায় মার্বেল ফিটিং এর কাজ করেন। রেশমার স্বাস্থ্য ভালো আছে বলে জানা গেছে।