বলে উপরওয়ালা যখন কাউকে আশীর্বাদ দেয় তখন যেন সবটা উপুড় করে দেয়। করৌলি জেলার মাসলপুরের পিপরানি গ্রামের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী রেশমার সাথে এমনই কিছু ঘটেছে। বিয়ের সাত বছর পর প্রথমবারের মতো মা হয়েছেন রেশমা। করৌলির একটি বেসরকারি হাসপাতালে সোমবার একসঙ্গে ৫টি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন রেশমা। একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম হওয়ায় ঘটনায় হাসপাতালের কর্মীরাও বিস্মিত। মুহূর্তেই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালের সর্বত্র। হাসপাতালের রোগী ও তাদের পরিবার প্রসূতি ও তার সন্তানদের দেখতে উদগ্রীব ছিলেন।
হাসপাতালের চিকিৎসক আশা মীনা জানান, রেশমা দুই ছেলে ও তিন মেয়ের জন্ম দিয়েছেন। রেশমা গর্ভাবস্থার ৭ মাসের মাথায় ৫ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। প্রসবের পর রেশমার স্বাস্থ্য ভালো আছে। যদিও বাচ্চারা খুবই দুর্বল। তাকে আগে করৌলি সরকারি হাসপাতালের মাতৃ ও শিশু ইউনিটে অবস্থিত এসএনসিইউ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে তাকে জয়পুরে রেফার করা হয়েছে। বর্তমানে তার স্বাস্থ্য ভালো আছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় রেশমাকে ভর্তি করা হয়। এরপর ৮.৪৮ মিনিটে সন্তান প্রসব করেন রেশমা।
পাঁচটি শিশুর ওজন ৩০০ থেকে ৬৬০ গ্রামের মধ্যে।
এসএনসিইউ ইউনিটের ইনচার্জ ডা. মহেন্দ্র মীনা জানান, পাঁচ শিশুর ওজন ৩০০ থেকে ৬৬০ গ্রাম। নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজনে তাকে জয়পুরে রেফার করা হয়েছিল। রেশমার দেওর গাব্রু জানান, তার ছোট ভাই আশক আলী কেরালায় মার্বেল ফিটিং এর কাজ করেন। প্রায় ৭ বছর আগে রেশমার সঙ্গে বিয়ে হয় আশক আলীর। কিন্তু বিয়ের বহু বছর পার হলেও তাদের কোনো সন্তান হয়নি। এ কারণে অনেক জায়গায় তার চিকিৎসা করানো হয়েছে। এখন আল্লাহ তার কথা শুনে তার কোল ভরেছেন একসাথে ৫টি সন্তানের আশীর্বাদ দিয়ে।
তিন দিন আগে তিন সন্তানের জন্ম দেন এক নারী
ডাঃ মহেন্দ্র মীনা জানান যে ২২শে জুলাই, চৌধুরী পুর মান্দ্রিয়ালের বাসিন্দা প্রদীপ মীনার ২২ বছর বয়সী স্ত্রী লোটন বাই মাতৃত্বকালীন শিশু ইউনিটে তিনটি সন্তানের জন্ম দেন। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। লোটন বাইও বিয়ের পর প্রথমবার মা হয়েছেন। মা ও শিশু সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে শিশুদের এসএনসিইউ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।