ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গে করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের আগমন ঘটে গেছে ইতিমধ্যেই। তাই রাজ্য সরকার থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, সাথে লোকাল ট্রেনে ৫০% যাত্রী নিয়ে চলার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু এই ঘোষণা কার্যকর হওয়ার প্রথম দিনেই ট্রেন থেকে পরে গেলেন এক মহিলা যাত্রী। যদিও বারুইপুর ও ডায়মণ্ডহারবার স্টেশনের মাঝে এই ঘটনাটি ঘটে এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ । জানা গিয়েছে, ট্রেন থেকে পরে গেছেন মাঝবয়সী মহিলা যাত্রী অপর্ণা মন্ডল। বারুইপুরে থাকেন তিনি। ওই মহিলা বাইপাস গেটের কাছেই ছিটকে পড়ে যান চলন্ত বারুইপুর-ডায়মণ্ডহারবার ডাউন লোকাল ট্রেন থেকে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তার অবস্থা যথেষ্ট গুরুতর, বর্তমানে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। অভিযোগ, ট্রেনে মারাত্বক ভিড় ছিল আর এই ভিড়ের কারণেই তিনি ট্রেন থেকে পরে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রচণ্ড ভিড়ে ঠাসা ছিল এদিন দুপুরে বারুইপুর- ডায়মণ্ড হারবার ডাউন লোকাল ট্রেনটি। একেবারে ট্রেনের গেটের কাছে হাতল ধরে ঝুলছিলেন অপর্ণা মণ্ডল নামে ওই মহিলা। তিনি হাতল ফসকে ছিটকে লাইনের মাঝে পড়ে যান প্রচণ্ড ভিড়ে ধাক্কাধাক্কিতে টাল সামালতে না পেরেই। শাহরুখ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ বারুইপুর-ডায়মণ্ড হারবার ডাউন লোকাল বাইপাস গেটটি পেরোচ্ছিল দুপুর আড়াইটে নাগাদ। সেজন্য সেখানেই দাঁড়িয়ে যাই আমরা। হঠাৎ করে দেখি, এক মহিলা ছিটকে লাইনে পড়ে গেলেন ছুটন্ত ট্রেনটি থেকে। প্রথমে, তিনি মারা গিয়েছেন ভেবেছিলাম। তারপর ট্রেনটি চলে যাওয়ার সাথে সাথেই ওই মহিলার সামনে গিয়ে দেখি, উনি বেঁচে আছেন। তারপর আমরাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাই উদ্ধার করে।’
মনসুর আলি সর্দার শাহরুখের সহযাত্রী বলেন, ‘ লোক বাদুড়ঝোলা ঝুলছিল ট্রেনটির প্রতিটি গেটেই। গেটে ঝুলছিলেন ওই মহিলাও। তিনি হাত ফসকেই পড়ে যান। পড়েছিলেন দু’টো লাইনের মাঝে। সেজন্যই বেঁচে গিয়েছেন। তবে বেশি চোট লেগেছে মাথায়।
তাঁর পরিচয় ও বাড়ি জানা গিয়েছে ওই মহিলার মোবাইল ফোন থেকেই। তারপর তড়িঘড়ি ওই মহিলাকে উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। তাঁর চিকিৎসাও সেখানে শুরু হয়েছে। তবে মাথায় এতটাই জোরালো আঘাত যে, দু-ঘণ্টা পরেও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি।
অন্যদিকে, GRP ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চলন্ত ট্রেন থেকে যাত্রী পড়ে যাওয়ার খবর পেয়েই। ওই মহিলা কী ভাবে ট্রেন থেকে পড়ে গেলেন সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। ওই মহিলা ভিড়ের জন্যই যদি ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে কী ভাবে ট্রেনে ভিড় হচ্ছে সরকারের নির্দেশিকা সত্ত্বেও, তাও খতিয়ে দেখছে রেল পুলিশ।