সন্তান জন্ম দেওয়ার পরই মৃত্যু মায়ের। অনেক চেষ্টা করেও বাঁচানো গেলোনা তাঁকে। এই খবর টি বধূর আত্মীয় পরিজন এর কাছে পৌঁছানো মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। বিক্ষুব্ধ আত্মীয়রা অবরোধও করেন জাতীয় সড়ক। অভিযোগ সঠিক চিকিৎসা না পেয়েই মারা গেছেন ওই প্রসূতি। আর এই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনেই নার্সিংহোমের সামনে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ক্ষোভ প্রদর্শন করেন মৃতার আত্মীয়রা। এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো এলাকায়। খবরটি প্রকাশ হয়েছে TV9 বাংলায়। জানা গিয়েছে এই ঘটনাটি শুক্রবার দিন ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার কালদিঘিতে। সেখানকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। মহিলার বাড়ির লোকের অভিযোগ চিকিৎসকের গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে মহিলার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হস্তক্ষেপ করে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ৷ স্বাভাবিক করে পরিস্থিতি৷ শুরু হয় যান চলাচল৷ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তারা এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে। অবশ্য তারা ক্যামেরার সামনে কোনরকম প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পূজা কর্মকার (২১) মৃতের নাম। তার স্বামী রতন কর্মকার। শিববাড়ি এলাকায় বাড়ি। চলতি মাসের ১৫ তারিখে গঙ্গারামপুর কালদিঘি এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন ওই মহিলা। সেখানে তিনি জন্ম দেন এক ফুটফুটে পুত্র সন্তানের। এরপর পূজাকে গত ১৯ তারিখে ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু ধীরে-ধীরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে বাড়িতে নিয়ে আসার পরই। এরপর ফের প্রসূতিকে গঙ্গারামপুরের অন্য আর একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ২৪ তারিখে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানকার অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এরপর মালদার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করায় প্রসূতিকে পরিবারের সদস্যরা। সেখানেই শুক্রবার ভোরে পূজার চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিকে, ঘটনার পর মহিলার মৃতদেহ নিয়ে আসে মৃতের পরিবারের সদস্যরা গঙ্গারামপুরের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে। সেখানেই মৃতের আত্মীয়রা ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায়। যার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে গঙ্গারামপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
এই সম্পর্কে মৃত প্রসূতির আত্মীয় স্বপন কর্মকার বলেন, “ওই বেসরকারি নার্সিং হোমে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই। তাদের গাফিলতিতেই মারা গেল আমাদের মেয়ে। উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকা সত্বেও কী করে নার্সিংহোমের খোলে কর্তৃপক্ষ?” গাফিলতির অভিযোগে অভিযুক্ত নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে শাস্তি ও নার্সিংহোমটি বন্ধ করার দাবিতে তারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।