উত্তরপ্রদেশের কানপুর আউটারের মাকানপুর, বিলহাউরে এক মহিলা সহ দুই শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যাওয়ার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে আঞ্চলিক পুলিশসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে একটি ফরেনসিক দলকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছে। ফরেনসিক দল নমুনা সংগ্রহ করে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার অপেক্ষায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
তথ্য অনুযায়ী, মনোজ সাক্সেনা তার স্ত্রী রাগিনী, মেয়ে পার্থি এবং ৩ মাসের প্রিয়াংশীকে নিয়ে মাকনপুরে থাকতেন। পেশায় মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী মনোজ সকালে দোকানে ছিলেন। মনোজের দোকান মাকনপুরে। স্ত্রীকে ফোন করলেও কথা হয়নি। পরে বাসায় গিয়ে দেখেন ঘর ভেতর থেকে বন্ধ। ঘরের দরজা না খুললে তিনি দরজা ভেঙে ভেতরে দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান। ঘরে ফ্যানের সাথে রাগিনীর দেহ এবং কুন্ডের সাথে পার্থীর দেহ ঝুলছিল, প্রিয়াংশী বালতিতে মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল।
৪ বছর আগে প্রেমের বিয়ে হয়েছিল
৪ বছর আগে রাগিনির সঙ্গে প্রেমের বিয়ে হয় মনোজের। পুলিশ জানায়, মনোজ মদ্যপানে আসক্ত ছিল এবং তার লিভার নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। যার কারণে স্ত্রী তার স্বাস্থ্য নিয়ে বিষণ্নতায় থাকতেন। সেই সঙ্গে গোটা ঘটনায় মনোজের বারবার বয়ান বদলানো নিয়েও পুলিশের সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে। মনোজ একবার পুলিশের কাছে তার জবানবন্দিতে বলেছিলেন যে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং তারপর বলেছিল যে না, সে বিষ খেয়েছে। এইভাবে মনোজ বেশ কয়েকবার পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল, তারপরে পুলিশ স্বামী মনোজকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বয়ান পাল্টে পুলিশকে বিভ্রান্ত করছেন স্বামী
দুই মেয়ের প্রাণ কেড়ে নিয়ে আত্মহত্যাকারী মায়ের ঘটনায় রহস্য আরো গাঢ় হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত ওই নারীর স্বামী ঘটনাটি পুলিশকে জানাতে পারেননি। পুলিশ রুমটি সিল করে দিয়েছে। এখন ফরেনসিক টিম মৃত্যুর কারণের রহস্য উদঘাটন করবে। ঘটনা সম্পর্কে মনোজের ঘনঘন তথ্য পাল্টে যাওয়ায় পুলিশের সন্দেহ হচ্ছে। পুলিশের কাছে মনোজের দেওয়া বক্তব্য বারবার বদলে যাচ্ছে। একইসঙ্গে গোটা ঘটনায় সবচেয়ে বড় প্রশ্নও পুলিশের মনে যে, বাড়িতে সবাই উপস্থিত থাকলে এই ঘটনার খবর কেউ পেল না কেন?
এসপি আউটার তেজ স্বরূপ সিং জানিয়েছেন, পুলিশ বিছানায় ৩টি মৃতদেহ পেয়েছে। এটি বিষয়টিকে সন্দেহজনক করে তোলে। নমুনা সংগ্রহ করে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।