বর্তমানে অনলাইন ডেটিং সাইটের থেকে অনেকেই ডেটে যান। ঠিক এমনই এক ব্যক্তির ডেটিং সাইটের মাধ্যমে প্রেম হয় তার , প্রেমিকাকে বাড়িতে ডাকলেনও , কিন্তু অঘটন হল ঠিক এরপরই, যা জেনে শিউড়ে উঠলেন খোদ বার্লিন আদালতের বিচারক ম্যাথিয়াস শার্টজ! বললেন আমার তিরিশ বছরের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতাতেও এমন ঘটনা দেখেনি।
এ যেন রীতিমতো এক নরখাদকের রক্তহিম করা ঘটনা! বার্লিনের প্রাক্তন শিক্ষক ৪২ বছরের স্টেফান (নাম পরিবর্তিত) এক ব্যক্তির সঙ্গে ‘ডেটিং অ্যাপ’-এর মাধ্যমে পরিচয় করেছিলেন বছর দুই আগে, ২০২০ সালে। চ্যাটের মাধ্যমে কথা বলতে বলতে স্টিফানকে পছন্দ করতে শুরু করেন সেই ব্যক্তি! স্টিফান এরপর তাকে নিজের বাসভবনে ডেকে পাঠান। এরপর তাকে গলার নলি কেটে হত্যা করে মাদক খাইয়ে ! এরপর যা হয়েছে তা শুনলে যে কারোর রক্তহিম হয়ে যাবে। স্টিফান নিহত ব্যক্তির যৌনাঙ্গ কেটে খায়! তার বিশ্বাস ছিল, যৌনক্ষমতা বাড়বে মানুষের যৌনাঙ্গ খেলে। এরপর, টুকরো টুকরো করে কেটে ছড়িয়ে দেয় মৃতের শরীর বার্লিনের প্যাংকো জেলার বিভিন্ন জায়গায়।
আচমকাই স্টিফানের বাড়ির পাশের পার্কে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে মানুষের হাড় উদ্ধার হয়। তারপরেই জার্মানির পুলিশ তদন্তে নামে। সেগুলি ৪৩ বছর বয়সী জো-এর (নাম পরিবর্তিত) হাড়ের ফরেনসিক করে দেখা যায়, ইতিমধ্যেই নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের হয়েছিল স্থানীয় থানায় তাঁর নামে। এর পর নরখাদক স্টেফানের ঠিকানা খুঁজে পায় পুলিশ নিহতের ফোন রেকর্ড ঘেঁটে। বাড়িতে হানা দিয়ে, গোটা বাড়িতে রক্তের দাগ ও সন্দেহজনক কিছু অস্ত্র দেখা যায়। রক্তের নমুনা পরীক্ষা করলে দেখা যায় সেটি নিহতের।
অবশ্য, স্টেফানের বাড়িতে আচমকাই মৃত্যু হয় জো-এর এমনই স্টেফানের আইনজীবীর যুক্তি ছিল। স্বাভাবিক মৃত্যুই সেটি ছিল, সম্ভবত হার্ট অ্যাটাকে। স্টেফান তাতেই ভয় পেয়ে যান, মনে করেন এইবার বুঝি তিনি সমকামী তা প্রকাশ্যে আসবে , তাই টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে দেন মৃতের দেহ লোপাট করতে। কিন্তু তাঁর সাফাই বিশ্বাস করেন না বিচারক। তার পালটা প্রশ্ন ছিল, কীভাবে যৌনাঙ্গ আলাদ হল মৃতের শরীর থেকে? এবং কোথায় সেই যৌনাঙ্গ? তখন স্টেফান স্বীকার করেন যে সেদিন আসলে ওই ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে এসে হঠাৎ মারা গিয়েছিলেন। তার পর তাঁর যৌনাঙ্গ কেটে তিনি খেয়েছিলেন।